ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

এবার কমছে পড়ুয়াদের সিলেবাস

মাধ্যমিক–উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আগেই ঘোষিত হয়েছিল। এবার প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতেও পাঠ্যক্রম কমছে। রাজ্যের সিলেবাস বিশেষজ্ঞ কমিটি সূত্রে খবর, পাঠ্যসূচির ৩০-৩৫ শতাংশ কমানো হচ্ছে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও এই পরিমাণ সিলেবাসই কমেছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ভিত্তিতেই পড়ুয়াদের কাছে যাবে অ্যাক্টিভিটি টাস্ক। তার ভিত্তিতে দেওয়া হবে নম্বর।

মুখ্যমন্ত্রীর ইঙ্গিত অনুযায়ী যদি পুজোর পরে স্কুল খোলেও, পুরো সিলেবাস শেষ করার সময় আর পাওয়া যাবে না। পরীক্ষা নেওয়া তো দূর অস্ত। তাই সিলেবাস কাটছাঁটের পথে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষাদপ্তর। সেই দায়িত্ব দেওয়া ছিল সিলেবাস কমিটির উপরই। তারাই নিরন্তর আলোচনা চালিয়ে, বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিয়ে তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে।

প্রত্যেক শ্রেণির, প্রতিটি বিষয়ে। এবার প্রশ্ন উঠতে পারে, পরীক্ষাই যেখানে হবে না, সেখানে সিলেবাস কমানোর যুক্তি কী? উত্তরও দিচ্ছেন শিক্ষা আধিকারিকরা। তাঁরা বলছেন, এবার অ্যাক্টিভিটি টাস্কে যেহেতু নম্বর দেওয়া শুরু হচ্ছে, আর সেটা ফাইনালে যোগ হতে চলেছে, তাই সিলেবাসের গুরুত্ব রয়েছে। মাধ্যমিকে নবম শ্রেণির ফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফল তৈরি করতে হয়েছিল। তবে সেবার নবম শ্রেণির পরীক্ষা হয়েছিল বলে তা করা সম্ভব হয়। এবারও যদি তেমন পরিস্থিতি হয়, তাহলে স্কুল এবং বোর্ডের হাতে মূল্যায়ন করার জন্য একটা নম্বর থাকবে।

অবশ্য শিক্ষকদের একাংশ বলছেন, সিলেবাস কমানোর বিষয়টা আরও আগে ঘোষণা করা হলেই ভালো হতো। কারণ, যে স্কুলগুলিতে অনলাইন ক্লাস নিয়মিত হচ্ছে, তারা বাদ পড়া সিলেবাসের পুরোটা বা সিংহভাগই পড়িয়ে ফেলেছে। যেহেতু এবার সেই অর্থে পরীক্ষা হবে না, তাই পুরো সিলেবাস রেখে দিলেই হতো। নিচু ক্লাসে সব কিছু পড়াই উচিত।