খাস কলকাতায় খুন হয়ে গেল সিভিক ভলেন্টিয়ার। আর কলকাতা পুলিশ খবর পেল প্রায় ১০ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর। মদ্যপানকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বচসা থামাতে গিয়েছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার যুবক। আর তাঁকে নৃশংসভাবে খুন হতে হল। ঘটনাটি ঘটেছে ময়দান থানা এলাকায়। এই ঘটনায় ঘুম উড়ে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে হেস্টিং মাজারের কাছে একদল মদ্যপের হাতে আক্রান্ত হন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত যুবকের নাম ইরশাদ হোসেন ওরফে মহম্মদ সানি। তাঁর বাড়ি একবালপুর থানা এলাকায়।শনিবার মাঝরাতে আচমকাই তিনি দেখেন হেস্টিংস মাজারের কাছে বেশ কয়েকজন মদ্যপান করছে। মাঠে বসা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসাও বেঁধেছে। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এভাবে বচসায় জড়িয়ে পড়তে দেখে কর্তব্যরত ইরাশাদ তাদের থামাতে যান। তখন বিষয়টি যাতে প্রকাশ্যে না আসে তার জন্য মদ্যপরা ইট দিয়ে সজোরে মাথায় আঘাত করে। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে বিদ্যাসাগর সেতুর লোহার পাটাতনেও বেশ কয়েকবার তাঁর মাথা ঠুকে দেওয়া হয়।
মর্মান্তিক এই ঘটনার পর অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ইরশাদ। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এখানকার স্থানীয়রা ইরশাদকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যেতে যেতেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করার পাশাপাশি মনে করছেন, মাথায় আঘাত লাগার ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের মধ্যে রয়েছে মুন্না নামে স্থানীয় এক যুবক এবং আরও দু’জন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িতদের নাগাল পেতে চাইছে পুলিশ। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এই রাজ্যে কী আইনশৃঙ্খলা আছে? সিভিক ভলেন্টিয়ারের যদি এই পরিণতি হতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
