খুলে যেতে চলেছে সিনেমা হল। শনিবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকদের দেওয়া পরামর্শে জানানো হয়েছে, আগস্ট মাস থেকে সারা দেশের সিনেমা হল খোলার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে কিনা তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি। যেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে স্বীকার করতে হয়েছে, দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে সেখানে সিনেমা হল খোলার সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব অমিত খারের সঙ্গে সিআইআই মিডিয়া কমিটির একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়। তবে তিনি জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব অজয় ভাল্লা। অমিত খার জানান, তাঁর পরামর্শ মতো ১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সিনেমা হলগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া যায়।
কিভাবে তা সম্ভব? সূত্রের খবর, সিনেমা হল থেকে যাতে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে না পারে তা নিশ্চিত করতে প্রথমসারিতে দুই দর্শকের মধ্যে একটি করে আসন ফাঁকা রাখা এবং তার ঠিক পেছনের সারিটা পুরোটাই ফাঁকা রাখতে বলা হয়েছে। এই নিয়ম মেনেই পুরো হলের সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট সাজাতে বলা হয়েছে। যদিও এই বৈঠকে যে সব হল মালিকরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা অবশ্য এমন নির্দেশিকা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি আসন সাজানোর এই ফর্মুলা একেবারেই মানা যায় না। তাঁদের যুক্তি, মোট আয়তনের মাত্র ২৫ শতাংশ দর্শক দিয়ে হল চালু রাখায় যা ক্ষতি হবে তা বর্তমান পরিস্থিতির চেয়েও খারাপ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় সারা দেশের সিনেমা হলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পর্যায় ক্রমে লকডাউন শিথিল করা হলেও, সিনেমা হল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত। এই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে হল মালিকদের মধ্যেও। শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৯১৬ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৬১।