কথা দিয়েছিলেন ক্ষমতায় তদন্ত করে দেখা হবে শীতলকুচির ঘটনা। কথা অনুযায়ী সেই কাজ শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল রাজ্য–রাজনীতি। তারপর থেকেই নাছোড় মনোভাব ছিল মমতার। জানিয়ে দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় আসা মাত্রই শীতলকুচি নিয়ে তদন্ত করাবেন তিনি। সেই তদন্ত ইতিমধ্যেই সিটের তত্ত্বাবধানে জোরকদমে চলছে। এবার শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিআইডি অফিসাররা তদন্ত সূত্রে দেখতে পেয়েছেন, শীতলকুচির ওই বুথের ভিতরেও রয়েছে গুলির চিহ্ন। সেই গুলি কে চালালো, কোথা থেকে চালানো হয়েছিল, কোন আগ্নেয়াস্ত্র থেকে চালানো হয়েছিল, সেই বিষয়গুলিই এবার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বুথের বাইরে জটলা সরাতে গেলেই গ্রামবাসীদের একাংশ ঘিরে ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে হয় বাহিনীকে। যদি বুথের বাইরেই সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে বুথের ভিতরে ব্ল্যাকবোর্ডে কীভাবে মিলল গুলির চিহ্ন? সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতেই সোমবার শীতলকুচির ওই বুথে ব্যালেস্টিক দল যাচ্ছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১২৬ নম্বর বুথে গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ সেই ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছিল৷ সেই ঘটনার তদন্তেই ডিআইজি সিআইডি’র নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ জেরা করা হয়েছে মাথাভাঙা থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকারকেও৷ ঘটনার দিন আরটি মোবাইল অফিসার হিসেবে দায়িত্বে থাকা এসআই গোবিন্দ মণ্ডলের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।