রাজ্য লিড নিউজ

বায়রনের দল বদলকে ‘লোক ঠকানো’ আখ্যা চিরঞ্জিতের

বায়রন বিশ্বাসের দল বদলকে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে তোপ দাগলেন কংগ্রেস বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ। টুইটে তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের টিকিটে ঐতিহাসিক জয়ের মাত্র ৩ মাসের মাথায় বায়রন বিশ্বাসকে লোভ দেখিয়ে ভাঙাল তৃণমূল। এটা সাগরদিঘির ভোটারদের সঙ্গে পুরোপুরি বিশ্বাসঘাতকতা। কংগ্রেস ভাঙিয়ে বিধায়ক, সাংসদদের দলে টানা আদপে বিজেপিরই হাত শক্ত করছে। এমনকী, এ ধরনের ঘটনা বিরোধী ঐক্যের পক্ষে ক্ষতিকারক বলেও জানিয়েছেন তিনি। তুলে এনেছে গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের প্রসঙ্গও। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের মনে করছে, নাম না করে তৃণমূলকেই নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা।

অন্যদিকে, বায়রন বিশ্বাসের দলবদল প্রসঙ্গে তীব্র আক্রমণ শানালেন বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চিরঞ্জিত বলেন, ‘এভাবে দলবদল করা আমি পছন্দ করি না। এটা লোক ঠকানো। মানুষ তো তাঁকে কংগ্রেসের হয়ে ভোট দিয়েছেন। তিনি যদি দলবদল করেন তাহলে আসলে মানুষকেই অপমান করা হয়। একজন একটা দলের এমপি। তিনি আবার অন্য দল করছেন। এটা হয় কী করে। এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে একটা মাইলফলক তৈরি করে রেখেছেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তারপর আসানসোলে উপনির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহা জেতায় তৃণমূলও প্রথমবারের জন্য সেই আসন জেতে। পরে বাবুল আবার বালিগঞ্জে উপনির্বাচনে জিতে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য।