লাদাখে চিনকে প্রতিরোধ করে দেওয়ায় সেখানে তারা বিশেষ খাপ খুলতে পারেনি। তাই বৈঠক করে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে রাজি হয়েছে। কিন্তু আগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল চিন সহজে মেনে নেওয়ার পাত্র নয়। তার পেছনে নিশ্চয়ই কোনও বড় ছক থাকবে। এবার সেটাই প্রকাশ্যে চলে এল। চিন এবার জম্মু–কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানকে লেলিয়ে দিল। জম্ম–কাশ্মীর সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক মজুত করার নির্দেশ পাকিস্তানকে দিয়েছে চিন। সেখানে ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ ও অস্থিরতা ছড়িয়ে দিতে বলা হয়েছে। গোয়েন্দারা কেন্দ্রীয় সরকারকে এই রিপোর্ট পেশ করেছে।
জানা গিয়েছে, জম্মু–কাশ্মীরে অস্ত্রশস্ত্রের বন্যা বইয়ে দিতে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই–কে চিন নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর। পরপর কয়েকটি অভিযান চালিয়ে জম্মু–কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ফলে গোয়েন্দাদের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। কাশ্মীরে অস্থিরতা–অশান্তি তৈরি করলে সেদিকে নজর দেবে ভারতের সেনাবাহিনী। তখন লাদাখে সেনা কমলে তা দখল করবে চিন। এই ছক ধরে ফেলা হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাক গুপ্তচর সংস্থাকে চরম নির্দেশ দিয়ে চিন বলেছে, অস্ত্রের বন্যা বইয়ে দিয়ে যত বেশি সম্ভব অনুপ্রবেশ ঘটাতে হবে এই শীতের মধ্যে। এই রিপোর্ট পেয়ে অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযান আরও জোরালো করে তুলেছে নিরাপত্তা বাহিনী। নিয়ন্ত্রণরেখা ধরে চলছে জোরদার নজরদারি। গত ১০ দিনে জম্মু–কাশ্মীর সফর করেছেন সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে, বিএসএফ প্রধান রাকেশ আস্থানা এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের প্রধান এপি মাহেশ্বরী। নিজেদের রিপোর্ট তাঁরা সবাই আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা করবেন।
জম্মু–কাশ্মীরের অপারেশন ইনচার্জ জানাচ্ছেন, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ম নিয়ে চর্চা করেছে। সেখানে তারা দেখেছে বিনা অস্ত্র নিয়ে যদি অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে কেউ ধরা পড়ে তাহলে তাকে গুলি করা হয় না। তাই এভাবে যদি অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দেওয়া যায় তাহলে পরে অস্ত্র ড্রোনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া যাবে। পাকিস্তান এই কাজের জন্য চিনের কাছ থেকে কতগুলি হেক্সাকপ্টার কিনেছে। তা দিয়েই অস্ত্র পাচার করা হবে বলে সূত্রের খবর।
