লাদাখে বিশেষ খাপ খুলতে না পেরে এবার পশ্চিম ও মধ্য ভুটানের সীমান্ত বরাবর গোলমাল শুরু করেছে চিনের সেনা। ভারতের পক্ষে ভুটান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। তাই এই নিয়ে যথেষ্ঠ মাথাব্যথার কারণ রয়েছে ভারতেরও। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বেজিং–থিম্পু ২৫তম রাউন্ডের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল চলতি মাসে। তার আগেই চিন–ভুটান সীমান্তের মধ্য ও পশ্চিম সেক্টরে পিপলস লিবারেশন আর্মি গোলমাল পাকাতে শুরু করেছে বলে খবর। এমনকী ভুটানের ভুখণ্ডে চিনের ফৌজের অনুপ্রবেশের অভিযোগও উঠেছে।
চিন এখন দাবি করে বসেছে ভুটানের পশ্চিম প্রান্তের ৩১৮ বর্গ কিলোমিটার এবং মধ্য ভুটানের সীমান্ত বরাবর ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা তাদের। চিনের লালফৌজ সেখানে সেনা চলাচলের রাস্তা তৈরি করতে চলেছে। লাল ফৌজের এই গতিবিধিতে উদ্বিগ্ন খিম্পু। বৈঠকের আগে ভুটানকে চাপে রাখতেই চিনের এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ২০১৭ সালে ডোকালাম মালভূমিতে ভারত–চিন সেনার টানা ৭৩ দিনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকার সময় নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়িয়েছিল ভুটান। তাই ভারতের বন্ধু–দেশকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ বলেও অনেকের ধারণা।
লাদাখের মতো একই পদ্ধতিতে গত ১৩ আগস্ট তোর্সা নালা পার করে ভুটান সীমানায় ঢোকে পিএলএ। রাজা–রানী লেকের থেকে পশুপালকদের সরে যেতে বলে। উত্তর ডোকালামে সার্ভিল্যান্স ক্যামেরা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম বসিয়ে নজরদারি শুরু করে দিয়েছে চিন। চুম্বি উপত্যকার পূর্ব ভুটানের প্রায় ৪০ কিলোমিটার অন্দরে ঢুকে তারা রাস্তা এবং হেলিপ্যাড বানিয়েছে বলে অভিযোগ। সাকতেং অভয়ারণ্য ভুটানের ত্রাশিগাং জেলার অংশ কি না, সে বিষয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছিল চিন। পূর্ব ভুটানের ওই অভয়ারণ্যের পাশেই অরুণাচল প্রদেশ। ফলে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে ভারতের।