চিনের প্রধান বন্ধু হল পাকিস্তান। তাই বারবার পাকিস্তান অন্যায় করলেও তাকে আশ্রয় দিয়েছে চিন। এখন লাদাখের গলওয়ানে ভারত–চিন সেনা সংঘর্ষের পর বেশ বেকায়দায় পড়েছে চিন। কারণ সোজা রাস্তায় নজরদারি করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও চিন সেনার গতিবিধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে খবর মিলেছে। সূত্রের খবর, ভারতের উপর বাড়তি চাপ বাড়াতেই এখন এই কৌশল নিয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। এই অবস্থায় ওই এলাকার সীমান্তবর্তী স্থানগুলিতেও সজাগ দৃষ্টি রাখছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও।
গত সপ্তাহে একটি চিনের রিফুয়েলার বিমান স্কার্ডুতে অবতরণ করে। পূর্ব লাদাখের পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও চিনের বায়ুসেনার গতিবিধি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে খবর। গত কয়েকদিনেও ওই এলাকায় পিএলএএফ’র বেশ কিছু চপারকেও ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। তাই আজ ভারত সেখানে ক্ষেপনাস্ত্র পাঠিয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জম্মু–কাশ্মীর থেকে হঠাতই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে ২০০ যুবক। সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকেই কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটায় পাকিস্তান। পাকিস্তান বারবার কাশ্মীরে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ২০০ তরুণকেও কাজে লাগানো হতে পারে একই কাজে। চিনের থেকে টাকা নিয়ে তা জঙ্গি কার্যকলাপে লাগায় পাকিস্তান। তাই এখন চিন নিজের আকাশপথ ব্যবহার করতে দিয়েছে ইমরান খানের দেশ।
পাকিস্তানের অনুপ্রবেশ ও চিনের তৎপরতায় নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় বায়ুসেনাও। চলছে কড়া নজরদারি। সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ভারতের উপর নজরদারি বাড়াতে জিনজিয়াংয়ের হোতান বিমানঘাঁটি ইতিমধ্যেই সু–২৭ ফাইটার জেট মোতায়েন করেছে চিনের বায়ুসেনা। যা অনেকটা ভারতের সুখোই–৩০–এর মতো। যদি যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয় বা কোনপ্রকার সংকট দেখা দেয় তাহলে যাতে পাকিস্তান সাহায্য করতে পারবে। প্রায় ৪০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত হওয়ায় জ্বলানি, অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রেও বিশেষ বেগ পেতে হয়।
