আন্তর্জাতিক

ভারতের বিরুদ্ধে চিন–পাকিস্তানের গোপন চক্রান্ত

ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়েছে পাকিস্তান–চিনের মধ্যে হওয়া একটি গোয়েন্দা চুক্তি। তবে ভারতের বিরুদ্ধে এবার জোট গড়ে পাকিস্তান–চিন জৈব অস্ত্রের লেনদেনে মেতেছে। এই বিষয়ে লুকিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে উহানের ইনস্টিটিউট। ফলে ভারতে নাশকতা চালাতে জঙ্গিদের হাতে সেই জৈব অস্ত্র তুলে দিয়ে মোক্ষম আঘাত করতে চায় পাকিস্তান। চিনও পাকিস্তানের কাঁধে বন্দুক রেখে ভারতের দিকে গুলি চালাতে চায়। সেক্ষেত্রে দায়ী হবে পাকিস্তান। আর চিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের স্বচ্ছ দেখিয়ে পাকিস্তানকে বাঁচাবার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, এই উহান ইনস্টিটিউট থেকেই করোনাভাইরাস ছড়ানো হয়েছে বিশ্বে বলে বহু দেশের অভিযোগ। সেই উহান ইনস্টিটিউটের সঙ্গেই এবার হাত মেলালো ইসলামাবাদ। ভারতের বিরুদ্ধে জৈব অস্ত্র হাসিল করাই তাদের লক্ষ্য। তিন বছরের এই চুক্তিতে অ্যানথ্রাক্স কিনবে পাকিস্তান। এই অ্যানথ্রাক্স অর্জনের প্রক্রিয়া চলবে গবেষণার আড়ালে। একটি প্রতিরক্ষা বিষয়ক পত্রিকায় চিন–পাকিস্তানের সেই চক্রান্ত চুক্তির বিষয়টি ফাঁস হয়েছে। রিপোর্টে লেখা হয়েছে বলে ওই পত্রিকার দাবি, চিনের উহানের যে ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করা হয়, সেই ল্যাবেই জৈব অস্ত্রের চাষ করছে চিন। দোসর হয়েছে পাকিস্তান।
সূত্রের খবর, ভারতের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে পাক জঙ্গিদের মদত নিচ্ছে বেজিং। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। কাশ্মীরে নাশকতা চালানোর জন্য লালফৌজ পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন আল বদরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। উহানের ওই ভয়ঙ্কর ল্যাবে ইতিমধ্যে অ্যানথ্রাক্স–সহ বেশ কিছু ভয়ঙ্কর ভাইরাস নিয়ে যৌথ গবেষণা শুরু করেছে চিন–পাকিস্তান। তাতে সাফল্য মিললেই ভারত–সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশকে টার্গেট করা হবে।
জম্মু–কাশ্মীরে এখন এই জঙ্গিদের লক্ষ্য সেনা কনভয় থেকে শুরু করে সামরিক প্রতিষ্ঠান, ঘাঁটি, ছাউনি এবং শিবিরে হামলা চালানো। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই চিনকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে লাদাখে। এমনকী ভারতে ব্যাট অপারেশন চালানোর পরিকল্পনা করছে চিন–পাকিস্তান। এক মার্কিন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আল কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনও জৈব অস্ত্র কেনার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেনাবাহিনীর হাতের পুতুল হয়ে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সেনার ডিফেন্স সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি অর্গানাইজেশন নাকি ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস এবং অ্যাসিলাস থুরিংজিয়েনিসিস–এর মতো মারাত্মক ভাইরাস তুলে দিয়েছে চিনের হাতে।