গলওয়ান নদীর উপত্যকা থেকে অন্তত এক কিলোমিটার পিছিয়ে গেল চিনের লাল ফৌজ। কারণ বায়ুসেনার রণসজ্জা এবং আকাশে মুহুর্মুহু চক্কর কাটছে এসইউ–৩০এমকেআইএস, মিগ–২৯ এসের মতো যুদ্ধবিমান। রাতের আকাশে প্রচণ্ড শব্দে চক্কর কাটায় কানে তালা ধরে গিয়েছে চিন সেনাদের। তাই গলওয়ান থেকে তাদের যাবতীয় স্ট্রাকচার চিন অন্তত এক কিলোমিটার পিছিয়ে নিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে পূর্ব লাদাখের জন্য প্রস্তুত রয়েছে অ্যাপাচে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই শত্রুপক্ষের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে চিনুক হেলিকপ্টার। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, যে কোনও অপারেশন কিংবা সহযোগিতা সব ক্ষেত্রের জন্যই তাঁরা একেবারে প্রস্তুত। এই পরিস্থিতিতে চিন সেনা গলওয়ান নদীর ধার থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে এই সেনা প্রত্যাহার কতটা দীর্ঘমেয়াদী তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলেই অনেকের মত।
বায়ুসেনা সূত্রে খবর, বায়ুসেনা খুব প্রাসঙ্গিক এবং সব ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে তৈরি। গলওয়ানে যুদ্ধ হলে শত্রুর বুকে আঘাত হানা এবং জওয়ানদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারবে বায়ুসেনা। অস্ত্র–সৈনিক দুই নিয়েই জওয়ানদের পাশে দাঁড়াতে পারবে এয়ারফোর্স। উল্লেখ্য, শুক্রবার লাদাখে চিনের নাম সরাসরি না করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিস্তারবাদের জমানা শেষ হয়ে গিয়েছে। বিস্তারবাদে বিশ্বাসী শক্তিদের এবার হয় পরাজয় স্বীকার করতে হবে আর নয়তো ফিরে যেতে হবে।
তবে চিনকে বিশ্বাস করা যাবে না বলেই চিনুক ও রাশিয়ান এমই–১৭ ভি৫ হেলিকপ্টারগুলি সেনাদের অবস্থান পরিবর্তন করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেসে মোতায়েন করা আছে। চিনুক অনেক সরঞ্জাম বয়ে সামনের বেসে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবে। সব মিলিয়ে লাদাখ সীমান্তে হাওয়াই হামলা কিংবা পাল্টা হামলার জন্য ভারতীয় বায়ুসেনা তৈরি।