এবার বাংলাদেশকে সরাসরি হুমকি দিয়ে বসল চিন। আর তা নিয়ে জটিল হয়ে উঠল কূটনৈতিক আবহ। সেদেশে এখন প্রভাব বিস্তার করতে মরিয়া চিন। তাই ঢাকাকে কার্যত হুমকি দিয়ে বেজিংয়ের বক্তব্য, বাংলাদেশ ‘কোয়াড’ গোষ্ঠীতে যোগ দিলে ফল ভাল হবে না। এই হুমকি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে চিনের বূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
রাজধানী ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে চিনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি চার দেশের কোয়াড গোষ্ঠীতে যোগ দেয় তাহলে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা চাই না বাংলাদেশ ওই গোষ্ঠীতে কোনওভাবে যোগ দিক।’ এমনকী চিনের রাষ্ট্রদূত পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘চিন বিরোধী’ কোয়াডে যোগ দিলে বাংলাদেশকে তার পরিণাম ভোগ করতে হবে। এই বার্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান জিমিং। আসলে বাংলাদেশের উপর ভারতের প্রভাব খর্ব করতে মরিয়া চিন বলেই এই হুমকি বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, লালফৌজকে নজরে রেখে কোয়াড গোষ্ঠীর চার সদস্য দেশ– ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কৌশলগত আদানপ্রদান গভীর করাই এই মঞ্চের লক্ষ্য বলে প্রাথমিক বিবৃতিতে জানান নেতারা। চিনকে রুখতে ভারতই যে আমেরিকার ভরসা তা আবারও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
পূর্ব লাদাখ সীমান্তের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত–চিন সামরিক সংঘাত উদ্বেগ বাড়িয়েছে কোয়াড গোষ্ঠীর। দক্ষিণ চিন সাগর এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা নৌবহরের ক্রমবর্ধমান দাপট আমেরিকার জন্য অস্বস্তির। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা রেখে দেওয়ার ব্যাপারে সায় দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্ষেত্রেও চিন্তা বা দুশ্চিন্তা সেই বেজিং। হোয়াইট হাউসের আশঙ্কা, কাবুল থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলে আফগানিস্তানে দাপট প্রতিষ্ঠা করবে লালফৌজ।