Beijing finally softened the tone. On Tuesday,China began withdrawing troops from three locations in Ladakh.
আন্তর্জাতিক ব্রেকিং নিউজ

লাদাখ থেকে সেনা সরাল চিন

অবশেষে সুর নরম করল বেজিং। লাদাখে সীমান্ত সমস্যা শান্তিপূর্ণ উপায়ে মীমাংসা করে নেওয়া হবে বলে সহমত হয়েছিল দুটি দেশ। তার মধ্যেই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘চীনের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত আমাদের আলোচনা ইতিবাচক। কিন্তু দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, দেশের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কোনওরকম আপস করবে না ভারত।’‌ ভারত–চিনের মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পর সেই প্রক্রিয়াই শুরু হল। মঙ্গলবার লাদাখের ৩টি জায়গা থেকে সেনা সরাতে শুরু করল বেজিং। তারপর সেনাবাহিনী সরাল ভারতও।
জানা গিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় তৈরি হওয়া সমস্যা নিয়ে আরও একদফা বৈঠক হবে ভারত–চিনের মধ্যে। গালওান এলাকায় ১৪, ১৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট এবং হটস্প্রিং এলাকায় আগামী সপ্তাহেই ওই বৈঠক বসবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পূর্ব–লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা, পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ ও হটস্প্রিং এলাকা থেকে ২–২.৫ কিলোমিটার সরে গিয়েছে চিনের সেনা। একইভাবে ওইসব এলাকা থেকে আড়াই কিলোমিটার সরে এসেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও।
উল্লেখ্য, গতকালই রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন ভারত চায় কয়েক দশক পুরনো সীমান্ত সমস্যা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিটিয়ে ফেলতে। তার আগে দু’‌পক্ষের মধ্য শান্তির প্রয়োজন। সেনা বৈঠক এবং ওই বিবৃতির পরই এই পদক্ষেপ করল দু’‌দেশ। চিনের এই আগ্রাসী মনোভাব দেখার পর ভারতও লাদাখ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নির্মাণকার্য পুরোদমে চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থা বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের কথা হয়েছে। তারা লাদাখের সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়ক এবং অন্য পরিকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসতে চা‌ইছে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে অনুরোধ করা হয়েছে, তিনি যেন তাঁর রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকাভুক্ত করে লাদাখে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। চিনের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ভারতও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সড়ক ও এয়ারস্ট্রিপ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।