করোনার মারণলীলার মধ্যেই ধরা পড়ল বুনিয়া ভাইরাস। কোভিডের মতোই মানুষ থেকে মানুষের শরীরে সংক্রামিত হয় এই ভাইরাস। দুশ্চিন্তার সেই কালো মেঘের মধ্যেই হানা দিল বিউবোনিক প্লেগের। আর সংক্রমণ রুখতে গোটা গ্রাম লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, চিনের উত্তরাঞ্চলের ইন্নার মঙ্গোলিয়া এলাকার একটি গ্রাম লকডাউন করে দিয়েছে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন। বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুর পরেই সতর্কতা হিসেবে এই পদক্ষেপ করে প্রশাসন।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, চিনের ইন্নার মঙ্গোলিয়া এলাকার সুজি জিনকান গ্রামে এক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। মৃত্যুর আগেই ধরা পড়ে ওই ব্যক্তি বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত। গ্রামটি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তির বাড়ি ছাড়াও চারপাশে জীবাণুমুক্ত করার কথা বলেছে চিন সরকার। মৃতের পরিবারের ৯ জন সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। তার পর ভাইরাসটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ৭ লক্ষের উপর কোভিড আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। চিনের জিয়াংসু প্রদেশে ও আনহুই প্রদেশে হানা দিয়েছে আরও এক ভয়ানক ভাইরাসজনিত রোগ। রোগটিকে বলা হচ্ছে সিভিয়ার ফিভার ইউথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম বা এসএফটিএস। সাত জন প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্ত আরও ৬০ জন। তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছে চিন!
চিনের গ্লোবাল টাইমস সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বুনিয়া ভাইরাস বিশেষজ্ঞ, ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অফ মেডিসিনের অনুমোদিত হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিভাগের পরিচালক শেং জিফাং জানান, ভাইরাসটি সংক্রামিত প্রাণী বা মানুষের থেকে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। রক্তের মাধ্যমে, শ্বাসনালী ও ক্ষত দিয়েও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তিন বছর আগে বুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এক রোগী। ওই রোগীর মাধ্যমে ১৬ জন মানুষ আক্রান্ত হন। ওই ১৬ জনই আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে ছিলেন। ১৬ জনের একজন আবার বুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান।