বিরোধ মিটল না। চিন বিরোধ মেটাতে চাইল না। তাই মস্কোয় ভারত ও চিনের বৈঠকের পরও সীমান্ত বিরোধ মেটার কোনও ইঙ্গিত নেই। বরং শনিবার গোটা পরিস্থিতির জন্য পালটা ভারতকেই দোষী সাব্যস্ত করল চিন। একবার শান্তি চায় তো আর একবার দোষারোপ করে। এই দ্বিচারিতার খেলা খেলছে তারা। এদিন সে দেশের সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হল, এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেবে না চিন। সীমান্ত উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলার জন্যও ভারতের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে বেজিং।
এই পরিস্থিতিতে ভারত এবং চিনের সীমান্ত সমস্যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলে জানিয়ে ফের একবার মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে ভারত ও চিন যদি মনে করে এই ব্যাপারে সাহায্যের প্রয়োজন, আমেরিকা তা করতে প্রস্তুত।’
আর মস্কোয় চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আড়াই ঘণ্টার বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার পরপরই শনিবার সকালে চিনের পক্ষ থেকে সরকারি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘চিন–ভারত সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা সৃষ্টি, জিইয়ে রাখা ও বাড়িয়ে তোলার জন্য ভারতই পুরোপুরি ভাবে দায়ী। এক্ষেত্রে এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেবে না চিন। দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বজায় রাখতে চিনের সেনাবাহিনী সক্ষম, আত্মবিশ্বাসী এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
তবে ট্রাম্প এমন সময় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন, যখন রাশিয়ায় এসসিও বৈঠকে গিয়ে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। চিন নিজেই বৈঠক চাইল আর নিজেই বেপরোয়া মনোভাব দেখাচ্ছে। তাই ভারতও নিজেদের তৈরি রেখেছে বলে খবর।