করোনাভাইরাসের জন্য আগেই চিনের ওপর ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার চিনের বিরুদ্ধে করোনা প্রতিষেধকের গবেষণা চুরির অভিযোগ তুলল আমেরিকা। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা প্রতিষেধকের গবেষণা আশা জোগাচ্ছে। সেই গবেষণাই নাকি হস্তগত করতে চেয়েছিলেন হোস্টনের চিনের দূত। এই অভিযোগ এনে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। এই খবর ছড়িয়েছে চিনের সংবাদমাধ্যম।
এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। ফলে ফের আমেরিকা–চিনের বিরোধ চরমে উঠতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। টেক্সাসের গবেষকদের ইমেল করে এফবিআই জানিয়েছে, চিনের সরকার অবৈধভাবে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে করোনার প্রতিষেধকের তথ্য কেড়ে নিতে চাইছে। জাতীয় অবস্থার কথা মনে করিয়ে গবেষকদের উপর প্রভাব পড়তে পারে বলেও বলা হয়েছে ওই মেলে। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (হু) চিনের দালাল বলে তোপ দেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই খবর পেয়ে প্রচণ্ড ক্ষেপে গিয়েছেন ট্রাম্প বলে খবর।
ইতিমধ্যেই হোস্টোনের চিনের দূতাবাসে ঝাঁপ পড়েছে। পালটা দিয়ে চেংদুতে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করেছে বেজিং। চিনের হংকং নীতি, জিনজিয়াংয়ের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দক্ষিণ চিন সাগরে আগ্রাসনের প্রসঙ্গ টেনে বারবারই তীব্র বিরোধিতা করেছে হোয়াইট হাউস। এবার এই খবর মার্কিন প্রেসিডেন্টের কানে যেতেই নতুন করে বিরোধ বাঁধতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। টেক্সাসের কংগ্রেস রাজনীতিবিদ মাইকেল ম্যাককল অভিযোগ তুলেছিলেন, হোস্টনের চিনের দূতাবাসই বেজিংয়ের বায়োমেডিক্যাল গবেষণা চুরির আঁতুড়ঘর।