সীমান্ত উত্তেজনায় রাশ টানতে একাধিক বৈঠকে বসেছে ভারত–চিন। তারই মধ্যে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে বেজিং। এই পরিস্থিতিতে চিনকে সরাসরি বার্তা দিয়েছে ভারত। আগের আলোচনায় দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি চিন। তাই নতুন কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে আগে সেই প্রতিশ্রতিই রক্ষা করুক লাল সেনা। দুই দেশের বাহিনীর কম্যান্ডারদের আলোচনায় চিনকে ভারত এমনটাই জানিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
গত ১৫ জুন লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ভারত–চিন দফায় দফায় সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনায় অংশ নিয়েছে। তবে আগে থেকেই এলএসি–তে অতিরিক্ত চিনের সেনা সংখ্যা কমানোর দাবি জানায় ভারত। সেই দাবি মেনে চিনের সেনা পিছু হঠতে শুরু করলেও ফের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। সরকারি তরফে এদিনের আলোচনার সারমর্ম নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া না হলেও সূত্রের খবর, গত ৬ জুন ও ২২ জুনের মতোই ভারতীয় এলাকা থেকে চিনের বাহিনী পিছিয়ে নেওয়া ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফিরিয়ে আনাই ছিল এদিনের আলোচনায় ভারতের মূল বক্তব্য।
সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এলএসি’র খুব কাছে উত্তর জিনজিয়াং প্রদেশে অতিরিক্ত ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিন। এই বিষয়টিকেই ‘পাখির চোখ’ করে সবরকমের প্রস্তুত নিচ্ছে ভারতও। সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিন। চিনের গতিবিধির উপর কড়া নজর রেখে ভারতও সেনা সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য সরঞ্জাম মজুত করতে শুরু করেছে। চিনের যে কোনও ধরনের পদক্ষেপের জবাব দিতে ভারত স্থল ও আকাশ পথে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এমনকী জলপথেও সেনা টহলদারির জন্য নৌসেনার ভেসেল পাঠানো হচ্ছে।