লাদাখে আচমকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পা রাখতেই চাপে পড়ে গেল শি জিনপিংয়ের দেশ। ভারত–চিন সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর লাদাখ সফরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল চিন। আসলে তারা এবার বুঝতে পেরেছে প্রধানমন্ত্রী এখানে আসা মানেই ভারত কোনও বড় প্রত্যাঘাতের জন্য তৈরি হচ্ছে।
তাই এদিন তড়িঘড়ি চিনের বিদেশমন্ত্রক জানায়, উত্তেজনা কমানোর জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ উভয় পক্ষের তরফেই নেওয়া উচিত নয়। আসলে এবার চিন ভয় পেয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ভারত ধীরে ধীরে গোটা সীমান্ত ঘিরে ফেলেছে। ফলে জবাব এবার পাবেই তারা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সেটা কেমন জবাব হবে তা নিয়ে তারা ধন্ধে রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর লাদাখ সফরের মধ্যেই চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ন বলেন, ‘ভারত–চিন সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে উত্তেজনা হ্রাস করার বিষয়ে যোগাযোগ এবং আলোচনা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপে কারও জড়ানো উচিত নয়।’ চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান এমএম নারাভানেকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার সকালে লেহ–তে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। ১১ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত নিমু চেকপোস্টে হাজির হন তাঁরা।
উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখের একাধিক অঞ্চলে ভারত–চিন সেনার বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ লেগে রয়েছে। গত ১৫ জুন গলওয়ান উপত্যকায় চিনের সেনার অতর্কিত আক্রমণে নিহত হন এক কর্নেল–সহ ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। সেই ঘটনার পর সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে দু’পক্ষই আলোচনায় বসলেও রফাসূত্র অধরাই থাকে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী লাদাখের যাত্রা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় চিনের কাছে।