দেশ লিড নিউজ

ভারতে ঢুকে সেতু ভাঙল চীন

আবার ক্ষমতা দেখাল চীনের লালফৌজ। তবে লাদাখ বা অরুণাচল নয়, এবার উত্তরাখণ্ডে। লাদাখে ভারত ও চীনের সেনার মধ্যে সংঘাতের দেড় বছর কেটে গিয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে শান্তি-বৈঠক। অনড় ভারত, লাদাখের বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার আগের অবস্থানে ফিরতে হবে ভারতকে। চীন রাজিও হয়েছে। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছে বেজিং। দেখা গিয়েছে, ভারতের অন্য কোনও সীমান্তে আগ্রাসী ও আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিচ্ছে লালফৌজ। তৈরি করছে উস্কানিমূলক পরিস্থিতি। এই প্রবণতা আবার দেখা গেল। এবং আরও বিপজ্জনকভাবে।

জানা যাচ্ছে, আগস্ট মাসে উত্তরাখণ্ডের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ডে ঢুকে আসে চীনের একটি ঘোড়সওয়ার বাহিনী। তাদের লক্ষ্যই ছিল উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী গ্রামে। সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা ছিল লালফৌজ। গ্রামের প্রান্তে রয়েছে ছোট নদীর উপর একটি কাঠের সেতু। স্থানীয় সূত্রের খবর, ফিরে যাওয়ার আগে ওই সেতু তারা ভেঙে দিয়ে যায়। ভারতীয় সামরিক বাহিনী অবশ্য এই বিষয়ে কোনও নিশ্চিত প্রমাণ পায়নি এবং কোনও সরকারি বিবৃতিও দেয়নি। সূত্রের খবর, চীনা আগ্রাসনের খবর পাওয়া মাত্র ওই গ্রামে পৌঁছে যায় সেনাবাহিনী। আর ভারতীয় জওয়ানদের আসতে দেখেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় চীনা ফৌজ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশজুড়ে।

জানা গিয়েছে, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মডিউলার কন্টেইনার ভিত্তিক শিবির নির্মাণ করছে চীন। ভারতীয় সেনা স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে জানতে পেরেছে, হট স্প্রিং, চাং লা, তাশি গং, গোগরা পোস্ট, মাঞ্জা এবং কুরুপ এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নতুন করে পিপলস লিবারেশন আর্মি একঝাঁক শিবির তৈরি করছে। পূর্ব লাদাখের এই বিস্তীর্ণ অংশে ইতিমধ্যেই লালফৌজের অনুপ্রবেশ নিয়ে জলঘোলা চলছে। গত বছরের মে এবং জুন মাসে হয়েছে তীব্র সংঘাত। প্রাণ দিতে হয়েছে দুই পক্ষের একাধিক সেনাকর্মীকে। এরপরই শান্তি ফেরাতে শুরু হয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্তরের বৈঠক। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১২টি বৈঠক হয়েছে। তারপরও কিন্তু পুরোপুরি সরেনি চীন।

সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ঠিক এই এলাকাতেই প্রচূর ড্রোন ব্যবহার করছে বেজিং। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চীনা ড্রোনের এই অতি সক্রিয়তার পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও। নিয়ম করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতীয় ড্রোন। এসবের মধ্যেই উত্তরাখণ্ডে চীনের সেনা অনুপ্রবেশের অভিযোগ কিন্তু দু’দেশের কূটনৈতিক টেনশন আরও বাড়াল।