চিন কী ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাইছে? এই প্রশ্নই এখন উঠতে শুরু করেছে। কারণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চরম উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের ছক কষতে শুরু করেছে চিন। এলএসি বরাবর আবারও বড় সংখ্যক চিনের সেনার মোতায়েন শুরু হয়েছে। তাতে নতুন করে যুদ্ধ উন্মাদনা তৈরি হচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সেখানে কাঁচ–তার বসিয়ে দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, নতুন করে ৩ ব্যাটেলিয়ন সেনা মোতায়েন করেছে লালফৌজ। লালফৌজের গতিবিধি সুবিধের ঠেকছে না ভারতের। মঙ্গলবার রাতেও নতুন করে চিনের জওয়ানদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিল ভারতীয় জওয়ানরা। আগস্ট মাসের শেষ থেকে চিন ফের নতুন করে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে আবার সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। সোমবার চুশূলের মুখরি এলাকা দিয়ে আরও একবার ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল চিনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি। ভারতীয় সেনাবাহিনী তা বানচাল করে দেয়। পিএলএ পিছু হটতে বাধ্য হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনের দিনগুলিতে লালফৌজ এমন চেষ্টা আবার করবে।
সূত্রের খবর, ৩ ব্যাটেলিয়ন সেনা মোতায়েন করেছে তারা এলএসি বরাবর। বাড়তি সেনা মোতায়েনের পেছনে নতুন কোনও চক্রান্ত রয়েছে বলে মনে করছেন ভারতীয় জওয়ানরা। এলএসি’র রেচিন লা’র কাছে পিএলএ পদাতিক ফোর্সের এক ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করেছে। স্পাঙ্গুর লেকের কাছে মোতায়েন করা হয়েছে আরও ২ ব্যাটালিয়ান। শিকওয়ানে থাকা চিনের ৬২ কম্বাইন্ড আর্মস ব্রিগেড থেকেই এই সৈন্য জড়ো করা হয়েছে।
তবে কোনওভাবেই চিন সুবিধা করতে পারেনি। লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে বেজিং। আর ছবিতে দেখা গিয়েছে, চিনের সেনারা বন্দুক, ছোরা, লোহার রড নিয়ে আস্ফালন করছে লাদাখের রাচেন লা সেক্টরে। এটা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে কারা আগ্রাসন শুরু করেছিল। ২৯ ও ৩০ আগস্ট রেচিন লা ও রেজাং লা’র দখল নিতে সমর্থ হয় ভারতীয় সেনা। এই দুই অঞ্চল থেকে চিনের মল্ডো ক্যানটনমেন্টের উপর নজর রাখতে পারবে ভারতীয় সেনা।
