লাদাখে তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের নিচে। বরফের পুরু চাদরে ঢেকেছে লাদাখের মাটি। এই পরিস্থিতিতে সমুদ্রপথে হামলা চালাতে পারে চিন বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। আর তা জানতে পেরেই এবার জলপথে রণসজ্জা বাড়াচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা। ইতিমধ্যে ভারত মহাসাগরে রণতরী মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকী, চিনের মোকাবিলা করতে একপ্রস্থ বৈঠক হয়েছে নৌবাহিনীর সঙ্গে বলে সূত্রের খবর।
গলওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই লাদাখে রণসজ্জা কয়েকগুণ বেড়েছে। সেনাবাহিনী, ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্কার সবই মজুত করা হয়েছে। কিন্তু শীতকালে তো পরিস্থিতি প্রতিকূল। লাদাখের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে হিমাঙ্কের নিচে। তাই পাহাড়ি পথে হামলা চালানো চিনের পক্ষে বেশ কঠিন। এখন তাঁরা সমুদ্রপথে ভারতকে নিশানা করতে পারে বলে খবর পেয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর চিনের দোসর হতে পারে পাকিস্তানও।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই খবর পাওয়ার পর একটা অ্যাম্ফিবিয়াস ব্রিগেড তৈরি ভাবনা চিন্তা করছে নৌসেনা। ভারতের অ্যাম্ফিবিয়াস ব্রিগেডের জওয়ানরা তিরুঅনন্তপুরম, আন্দামান–নিকোবরে নৌ বাহিনীর অন্যান্য ব্রিগেডের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অ্যাম্ফিবিয়াস বাহিনীর আরও একটি ব্রিগেড তৈরির তৎপরতা চলছে। ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ চিন সাগরের যোগাযোগের তিনটি রাস্তাতেই ভারতীয় নৌবাহিনীর দাপট রয়েছে। মালাক্কা প্রণালী, সুন্দা প্রণালী, সুয়েজ খাল এলাকায় কোনও হামলা হলে পালটা জবাব দিতে তৈরি ভারতীয় নৌসেনা।
এবার ভারত, আমেরিকা এবং জাপানের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে ও আরব সাগরে নৌ–মহড়ায় অংশ নিতে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়াকে। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে এই মহড়ায় অস্ট্রেলিয়া অংশ নিয়েছিল। সে বছর অংশ নেয় সিঙ্গাপুরও। কিন্তু তাতে ক্ষুব্ধ হয় চিন। তাদের ক্ষোভকে মর্যাদা দিয়ে ভারত এই মহড়ায় অস্ট্রেলিয়াকে অংশ নিতে দিত না। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়াও চিন অখুশি হবে এরকম কোনও কাজ করত না। কিন্তু লাদাখের ঘটনা পুরো ছবিটাই বদলে দিয়েছে।