লাদাখ কাণ্ডের পর থেকে প্রতিটি বৈঠকেই বেজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা সীমান্তে শান্তি চায়। কিন্তু পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না। এবার বেজিংয়ের অভিসন্ধি সীমান্ত থেকে পিছু হঠা তো দূরের কথা, এলএসি’র কাছে তারা এখন ৫জি পরিকাঠামো তৈরি করবে।
তাই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চলছে ফাইবার অপটিক্স কেবল এবং অন্যান্য কাঠামো তৈরির কাজ। যা এই অত্যাধুনিক পরিষেবাকে সচল করার জন্য প্রয়োজন। সূত্রের খবর, প্যাংগং লেকের কাছে নতুন করে কাঠামো এবং ব্যারাকও তৈরি করতে দেখা গিয়েছে লালফৌজকে। অর্থাৎ চিন মুখে যাই বলুক, সীমান্ত থেকে সরার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।
উল্লেখ্য, ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে দু’দেশের বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। যাতে ভারতের ২০ জন সেনা শহিদ হন। চিনেরও বহু সেনার হতাহতের খবর মিলেছে। তারপর থেকেই সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফেরানোর জন্য কথা চলছে দু’পক্ষের মধ্যে। মাসখানেক পরে গলওয়ান থেকে চিন সেনা দুই কিলোমিটার পিছিয়ে গেলেও পূর্ব লাদাখের একাধিক জায়গায় এখনও তাদের উপস্থিতি রয়েছে। বিশেষ করে দেপসাং, হটস্প্রিং এবং প্যাংগং লেকের মতো জায়গায়।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, ডেমচকের কাছে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ৫জি-র পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করেছে চিন। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে বন্ধুত্বের বার্তা শোনা গেল ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডং–এর গলায়। তাঁর কথায়, শুধুমাত্র একটি ঘটনার ভিত্তিতে প্রতিবেশীকে শত্রু চিহ্নিত করে ফেলা উচিত নয়। দুই দেশের উচিত আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, দূতের এই কথা থেকেই পরিষ্কার, সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিকেই নিউ নর্মাল হিসেবে ভারতের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চাইছে চিন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে আগেই বলতে শোনা যায়, সমাধান হলে তা আগের সমঝোতা অনুযায়ীই হবে। নতুন করে কোনও সমঝোতা সম্ভব নয়।