দুই দেশের আলোচনা চলাকালীন শান্ত ছিল বেজিং। ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব লাদাখ। তবে এবার ঘটনাস্থল গলওয়ান উপত্যকা নয়, প্যাঙ্গং সরোবর। তবে পালটা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সোমবার এই তথ্যই দিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ২৯–৩০ আগস্টের রাতে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং সো এলাকায় স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন করে সামরিক উস্কানির চেষ্টা করেছিল চিন। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী কড়কে দেওয়ায় তা সফল হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পূর্ব লাদাখে চলতি উত্তেজনা কমাতে দুই দেশের মধ্যে যে সামরিক আর কূটনৈতিক আলোচনা করা হয়েছে, সেটা ভাঙার চেষ্টা করেছিল চিন সেনা। স্থিতাবস্থা বদল করার উদ্দেশ্যে প্ররোচনামূলক সামরিক গতিবিধি দেখিয়েছে তারা। সব সমস্যা আলোচনার মধ্যে দিয়ে মেটানোর ব্যাপারে ভারতীয় সেনা বদ্ধপরিকর হলেও, নিজেদের অঞ্চল রক্ষা করার জন্য যে কোনও পন্থা নিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।
ভারতীয় সেনার জনসংযোগ আধিকারিক কর্নেল আমন আনন্দ বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখায় বিশ্বাসী ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে সার্বভৌমত্বের রক্ষায় কোনও সমঝোতা তারা করবে না। চিনের বাহিনীর আগ্রাসন প্রতিহত করতে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করেছে ভারতীয় বাহিনী।’ গত সপ্তাহে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে ১৯৬২ সালের পর সব থেকে খারাপ। পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের উত্তাপ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা ১৯৬২ সালের পর তা আর কখনও হয়নি।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত–চিনের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর দু’দেশের সীমান্ত সংঘর্ষে সেনা মৃত্যু হয়। ভারতের কর্নেল–সহ ২০ জন এবং চিনের তরফে ৪৩ জন হতাহত বলে জানা যায়। ভারতের দাবি ছিল, চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা না মানার ফলেই লাদাখের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। পরিস্থিতির বিশেষ বদল হয়নি, এদিনের ঘটনায় তা বোঝা গেল।