দেশ ব্রেকিং নিউজ

চাপের কাছে নতিস্বীকার চিনের

গলওয়ানের সংঘর্ষের আট মাস পর চিন স্বীকার করল যে, তাদের বাহিনীতেও প্রাণহানি ঘটেছে। চিন জানিয়েছে, ১৫ জুন ২০২০ সালের সেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তাদের সেনার পাঁচজন অফিসার প্রাণ হারিয়েছেন। একপ্রকার চাপের মুখে নতিস্বীকার করল চিন। নিহত ৫ সেনার নামপ্রকাশ করল জিনপিং সরকার। ওই সংঘর্ষে শহিদ হয়েছিল ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। তখন চিন দাবি করেছিল, তাদের কোনও সেনা নিহত হয়নি। শুক্রবার পিপলস লিবারেশন আর্মি ৫ নিহত সেনার নামের তালিকা প্রকাশ করেছে।
এই প্রথম চিন যে প্রাণহানির কথা মানল তা কূটনৈতিক সাফল্যে বলেই দেখছে নয়াদিল্লি। ওই চিন সেনাদের বিশেষ স্বীকৃতি দিতে চলেছে শি জিনপিং সরকার। ইতিমধ্যেই তাদের শহিদের তকমা দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ টানাপড়েনের পর সম্প্রতি লাদাখে প্যাংগং হ্রদের তীর থেকে সেনা সরাতে শুরু করেছে চিন। সূত্রের খবর, শুক্রবারই সেই প্রক্রিয় শেষ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই চিন বাহিনীর সংবাদপত্র ‘পিএলএ ডেইলি’র একটি রিপোর্ট সামনে এনেছে চিন সরকারের মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’।
ওই পাঁচ সেনার নাম—মিলিটারি কম্যান্ডার রেজি মেন্টাল কম্যান্ডার কুই ফাবাও, চেন জিয়াংগ্রং, শিয়াও শিয়ায়ুন, ওয়াং জুয়ারনন ও চেন হংজুন। নিহতের কথা মেনে নিয়েছে চিন সরকার। তবে তারা জানিয়েছে, এই সংঘর্ষের জন্য দায়ী শুধুমাত্র ভারতের সেনারা। কারণ তারাই প্রথম হামলা চালায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কারাকোরাম পর্বতে মোতায়েন ফ্রন্টিয়ার অফিসার এবং জওয়ান মিলিয়ে ৫ জনের কথা উল্লেখ করে সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন (সিএমসি) জানিয়েছে ২০২০ সালের জুনে গলওয়ানে ভারতের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।
উল্লেখ্য, ভারতীয় এলাকায় প্রবেশ ঘিরে গত বছর ১৫ জুন গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে সঙ্ঘর্ষ বাধে চিন বাহিনীর। তাতে প্রাণ হারান ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কথায়, ৩০ জন চিন সেনা নিহত হয়েছিল সংঘর্ষে। কূটনৈতিক চাপের মুখে পড়েই নতিস্বীকার করে মাত্র ৫ জনের নাম প্রকাশ করেছে চিন সরকার।