শিশুরা আক্রান্ত হবে তৃতীয় ঢেউতে—এই ধারণা একেবারেই ভিত্তিহীন এবং অবৈজ্ঞানিক। ইতিমধ্যে দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থাৎ, ২৫ কোটি শিশু অজান্তে শিকার হয়েছে করোনা ভাইরাসে। সেরো সার্ভের রিপোর্টই তার প্রমাণ। সেখানে দেখা গিয়েছে, শিশুদের করোনায় মৃত্যুর আশঙ্কা প্রতি ১০ লক্ষে মাত্র দু’জনের। শতাংশের বিচারে ০.০০০২ শতাংশেরও কম। তাই তৃতীয় ঢেউ এলে শিশুদের ব্যাপক হারে সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা সম্পূর্ণ অমূলক বলে জানালেন ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের কোভ্যাকসিন ট্রায়ালের অন্যতম প্রধান গবেষক দিল্লি এইমসের কমিউনিটি মেডিসিনের অধ্যাপক ডাঃ সঞ্জয়কুমার রাই।
তাঁর সাফ কথা, বাচ্চারা এমনিতেই করোনার সঙ্গে লড়াই করার মতো প্রচুর শক্তি রাখে। খুব কম ক্ষেত্রে তাদের দেহে কোভিডের মারাত্মক উপসর্গগুলি দেখা যায়। যদিও তাঁর দাবি, লাভ-ক্ষতির হিসেব দাড়িপাল্লায় চাপালে ভ্যাকসিনে লাভের পাল্লা অনেকগুণ ভারি। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে বিষয়টা তেমন নয়।
বাচ্চাদের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা কেন? ডাঃ রাইয়ের জবাব, ‘করোনার আরও মারাত্মক কোনও স্ট্রেইন আসতে পারে। তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক অস্ত্র বানিয়ে রাখার জন্যই আমাদের গবেষণা। যাতে ভাইরাস স্ট্রেইন পাল্টালে আমরা টিকায় সামান্য অদলঅদল করে সেটি ফের ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে পারি। ঠিক যেমনটি করা হয় ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকায়।