করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়ছে মাতৃস্বাস্থ্যের ওপরও। দেশে প্রসব–পূর্ব ও প্রসব–পরবর্তী পরিষেবা কমে গিয়েছে। কারণ বাড়িতে প্রসব বেড়েছে ২৩ শতাংশ। একইসঙ্গে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকিও বেড়েছে। স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির ব্যবহার কমেছে। লকডাউনের জেরে গর্ভধারণ বেড়েছে। ফলে বাড়ছে গর্ভপাতও। যা আর এক চিন্তা হিসাবে দেখা দিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ সূত্রে খবর, যাঁরা পরিষেবা দেবেন এবং যাঁরা পরিষেবা নেবেন, উভয়ই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় আছেন। ফলে পরিষেবা না পেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাওয়া, মৃত্যু বেড়ে যাওয়া দেখা দিচ্ছে।
জানা গিয়েছে, হাসিনা সরকারও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। পরিকল্পনা কমিশনে গত সপ্তাহে এই বিষয়ে সভা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মা, শিশুর স্বাস্থ্য কর্মসূচির ডিরেক্টর শামসুল হক জানান, ‘করোনার কারণে সব পরিষেবার মতো মাতৃস্বাস্থ্য পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়েছে। পরিষেবা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে হবে।’ গবেষকদের ধারণা, মাতৃস্বাস্থ্য পরিষেবায় জনবল কমেছে, পরিষেবা সামগ্রী সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে, পরিষেবা নেওয়ার চাহিদা কমেছে এবং পরিষেবা ব্যবহারের সুযোগ কমেছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মার্চ–এপ্রিল মাসে চারবার প্রসব–পূর্ব পরিষেবা নিয়েছিলেন ২০ হাজার ৩২৬ জন নারী। আর এই বছর নিয়েছেন ১৫ হাজার ৬৩১ জন নারী। গত বছর এই দু’মাসে দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসব হয়েছিল ২৫ হাজার ১৯২টি। এই বছর হয়েছে ২০ হাজার ৯০০টি।
