চিকিৎসার গাফিলতির জেরে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মটেরদীঘি ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। মৃত শিশুর নাম আনারুল মিস্ত্রি(৯)। মৃত শিশুর পরিবারের অভিযোগ সাপের কামড় খেয়ে আনারুলকে চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা না করে দিরঘক্ষনব বসিয়ে রাখা হয় তাঁকে।
এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা না করে হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখার কারণেই মৃত্যু হয়েছে আনারুলের। যদিও এই বিষয়ে এখনও হাসপাতাল কতৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার মঠেরদীঘি গ্রামের জিয়ারুল মিস্ত্রির নাবালক পুত্র সন্তান আনারুল মিস্ত্রি কে গতকাল সাপে কামড়ায়। মাঠে খেলার সময় তার পায় সাপে কামড়ালে সে বাড়িতে গিয়ে জানায়, সাথে সাথেই পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে মটেরদীঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে তাকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে নামমাত্র একটা ইনজেকশন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
বারবার চিকিৎসককে জানালে তিনি তার কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। অবশেষে তার সন্তান যখন প্রায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তখন তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে আনারুল কে (০৯) মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা পরিবার অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে মঠেরদীঘি হাসপাতালের বিরুদ্ধে তারা দাবি করছেন সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে তার শিশুকে এইভাবে হারাতে হতো না তবে তিনি আরো দাবি করছেন এই ভাবে যাতে আর অন্য কোন পরিবারের এমন ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর দিতে। দেহটি উদ্ধার করে ক্যানিং থানার পুলিশ ময়নাতদন্তে নিয়ে যায়।