আজ নদীয়ার কৃষ্ণনগরে গর্ভমেন্ট কলেজ মাঠে প্রকাশ্য জনসভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, বেলা বারোটা নাগাদ মঞ্চে বক্তৃতা রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই সম্ভবত তিনি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন দিয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে পড়েন। পাশাপাশি নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মীদের কী কী করনীয় সে সম্পর্কেও তিনি একটি গাইড লাইন তৈরি করে দিতে পারেন বলে জানা গেছে।
জনসভা শেষ করে তৃণমূল কংগ্রেসে সুপ্রিমো রওনা দেবেন নদীয়ার শান্তিপুরের উদ্দেশ্যে। সেখানে তিনি গোস্বামী পরিবারের রাস উৎসবে যোগ দেবেন। প্রসঙ্গত, এই গোস্বামী পরিবারের সদস্য ব্রজ কিশোর গোস্বামী শান্তিপুরের বিধায়ক এবং তার বাবা তৃণমূল কাউন্সিলর।
তবে গোস্বামী পরিবারের রাজ উৎসব উদ্বোধনের পর আরো বেশ কয়েকটি পূজা উদ্বোধন করার কথা শোনা যাচ্ছিল। সেই জায়গাগুলিতে যাবেন কিনা সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি ।
এরপর তিনি সেখান থেকে কৃষ্ণনগর সার্কিট হাউসের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে সূত্র মারফৎ খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বলা ভালো, শান্তিপুরের পাশাপাশি নবদ্বীপের রাস উৎসবও বেশ জমজমাট। রাস উৎসবে ভীষণ ভাবে মেতে ওঠেন নবদ্বীপবাসীরাও। তাই তিনি নবদ্বীপে যাবেন কিনা তা এখনো ঠিক হয়নি।
জানা গেছে, পরের দিন নদীয়ার হবিবপুরের ছাতিমতলা মাঠে প্রকাশ্য জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সেখান থেকে রানাঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি এবং রানাঘাটে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে যোগদান করবেন।
এই বৈঠকে ঘিরে বাড়ছে জল্পনা কারণ সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আদৌ কি মেটানো সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে, কারণ অতীতে বহুবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং সতর্ক করেছেন একাধিক নেতা মন্ত্রীদের কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। দিনে দিনে বেড়েছে আরও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। পাশাপাশি তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আশায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন রয়েছে তৃণমূলের সব নেতৃত্বই। নাম জড়িয়েছে নদীয়া জেলার বেশ কিছু দাপুটে নেতার। তাই প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, এখন সেটাই দেখার।
সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জোড়া সফর এবং জোড়া কর্মসূচির মাধ্যমে স্পষ্ট, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে একযোগে কাজ করার নির্দেশ বুথ স্তরে পৌঁছে দিতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।