২৯ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের নেতত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তিন বছর পূর্তি হবে। এই উপলক্ষ্যে ৮ ডিসেম্বর থেকে রাজ্য সফর শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। থাকবেন মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কেরাও। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জানিয়েছে, যেহেতু রাজ্যে জোট সরকার ক্ষমতায় তাই কংগ্রেস এবং আরজেডির বিধায়কদেরও এই যাত্রায় শামিল করা হবে। তাই যাত্রার পোশাকি নাম ‘খতিয়ানি জোহার যাত্রা’।
সম্প্রতি হেমন্ত সরকার বিধানসভায় জমির খতিয়ান সংক্রান্ত কিছু মৌলিক পরিবর্তন এনেছে। ১৯৩২ সালের খতিয়ান ধরে আদিবাসীদের জমির অধিকার নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। সেই কর্মসূচি বিশদে ব্যাখ্যা করতে জেলায় জেলায় জনসভা হবে। ঝাড়খণ্ড মন্ত্রিসভা গত তিন বছরের কাজের খতিয়ান তুলে ধরবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, হেমন্ত সোরেন এমন একটি সময় রাজ্য সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যখন তাঁর বিরুদ্ধে কয়লা খনি লিজ দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তিনি নিজেই অভিযোগ করছেন, রাজ্যপালকে দিয়ে বিজেপি তাঁর সরকারের পতন ঘটাতে চাইছে।
জেএমএম নেতৃত্বের আশঙ্কা, দল ভাঙাতে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই রাজ্যপাল হেমন্তের বিধানসভার সদস্য পদ খারিজের বিষয়ে উচ্চবাচ্য করছেন না। স্বভাবতই হেমন্তের কর্মসূচি ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে, শাসক দল কি ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন এগিয়ে আনতে চলেছে? এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে থেকে অন্তবর্তী নির্বাচনের ডাক দিয়ে নতুন করে বিধানসভায় জিতে আসার পরিকল্পনা করেছেন হেমন্ত, এমনটাই রাজনৈতিক মহলের জল্পনা।
সূত্রের খবর, রাজ্যের ২৪ জেলার মধ্যে প্রথম দফায় ৬টি জেলায় যাবেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ৮ তারিখ যাত্রা গাড়োয়া থেকে শুরু হয়ে পালামৌ, গুমলা, লোহারদাগা, গোড্ডা এবং দেওঘর জেলায় যাবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে প্রথম ছয় জেলার সফর। ১৬ তারিখ থেকে শুরু হবে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। বাকি ১৮টি জেলা সফর শেষ করা হবে শীতকালীন অধিবেশনের পর। শেষ হবে ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের আগে।