মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সারারাত কাটানোর পর কিছুটা সুস্থ মনে হওয়ায় রিস্ক বন্ডে হাসপাতাল থেকে মুক্ত করে কলকাতার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হল ছত্রধর মাহাতোকে। সামনে পুলিশ ভর্তি একটি গাড়ির কনভয়, পেছনে অন্য গাড়িতে সস্ত্রীক ছত্রধর মাহাতো শুক্রবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ রওনা দেন কলকাতার উদ্দেশ্যে।
দুই ছেলের বিয়ে উপলক্ষে এনআইএ আদালতে আবেদন করে প্যারোলে জামিন নিয়ে লালগড়ের আমলিয়া গ্রামে হাজির হয়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো। কয়েকদিন বাড়িতে থেকে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার বিকেলে বুকে ব্যথা অনুভব করায় রাতে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেখান থেকে ওইদিন রাত এগারোটা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল ছত্রধর মাহাতোকে। প্রথমে অক্সিজেন দিয়ে সারারাত চিকিৎসার পরে শুক্রবার সকাল থেকে খানিকটা সুস্থ বোধ করেন তিনি। অন্যদিকে শুক্রবারই কলকাতায় এনআইএ-র আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে হাজিরা দেওয়ার কথা। তাই পরিবারের পক্ষ থেকে স্ত্রী নিয়তি মাহাতো স্বামীর সুস্থতা দেখে রিস্ক বন্ডে হাসপাতাল থেকে ছত্রধর মাহাতোকে নিয়ে রওনা দিলেন কলকাতার উদ্দেশ্যে।
নিয়তি মাহাতো বলেন, “চিকিৎসকরা যা বলার বলেছেন। তবে রিস্ক বন্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।” কলকাতায় এনআইএ এর আদালতে হাজিরা দিয়ে অনুমতি পেলে এসএসকেএম বা অন্য হাসপাতালে চিকিৎসার দিকে যেতে পারেন বলেও প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন নিয়তি মাহাতো।