শনিবার জঙ্গলমহলে প্রথম দফার ভোট মেটার পরই রবিবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে ছত্রধর মাহাতো। দীর্ঘ ১১ বছর পর শনিবার ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত লালগড় থানার আমলিয়া গ্রামে নিজের বুথে ভোট দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো। সূত্রের খবর, ২০০৯ সালে রাজধানী এক্সপ্রেসে মাওবাদী হামলার ঘটনায় তাঁকে আটক করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ লালগড়ের আমলিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে ছত্রধরকে আটক করা হয়।
জানা গিয়েছে, ১৬, ১৮, ২২ মার্চ এনআইএ’র পক্ষ থেকে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়। কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি। আদালতের নির্দেশ মেনে আজ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ৪০ জনের একটি দল। রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ছিলেন তখন জনসাধারণ কমিটির মুখপাত্র। ইউএপিএ আইনে যাবজ্জীবনের সাজা কাটিয়ে গত বছরই মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৪ জুন লালগড়ের ধরমপুরে সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুন হন। সেই খুনের ঘটনায় ছত্রধর মাহাতোকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর ওই বছরই রাজধানী ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়। ২০০৯ সালের শেষদিকে জানেশ্বরী এক্সপ্রেস নাশকতায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন জঙ্গলমহলের তৎকালীন জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো।
সূত্রের খবর, ছত্রধরের চারজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। অভিযোগ, তাঁদের সরিয়ে ‘গেঞ্জি ও গামছা’ পরিহিত অবস্থায় ছত্রধরকে তুলে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। ধৃত ছত্রধরকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। রবিবারই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে। তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা করে নেন ছত্রধর মাহাতো।
