দেশ ব্রেকিং নিউজ

অন্ধ্রে গ্যাস লিক!‌ অসুস্থ ৮ হাজার, মৃত একাধিক

করোনা আবহের মধ্যেই ঘটে গেল মারাত্মক দুর্ঘটনা। বিশাখাপত্তনমের আর–আর বেঙ্কটপুরমের এলজি পলিমারস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের রাসায়নিক প্ল্যান্টে বিষাক্ত গ্যাস লিক করে এক শিশু–সহ আটজন মারা গিয়েছে। আট হাজারের বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চোখ জ্বালা এবং প্রবল শ্বাসকষ্টের মতো একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বহু মানুষ। তবে অন্ধ্রের গ্যাস লিকের ঘটনার উপর গভীরভাবে নজর রাখছে কেন্দ্র বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, এই ব্যাপারে তিনি কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সঙ্গে।
কারখানার কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় এলাকার লোকজনও অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে। বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে মানুষের মারা যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা যায়। প্রাণ বাঁচাতে লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। ঘটনার পর কী পরিস্থিতি সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যাবতীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি বিশাখাপত্তনমে গিয়ে কিং জর্জ হাসপাতালে অসুস্থদের সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছেন। যাবতীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন রয়েছে ঘটনাস্থলে। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। অ্যাম্বুল্যান্সে করে বহু মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রেটার বিশাখাপত্তনম পুরনিগম জানিয়েছে, আগাম সতর্কতার জন্য ওই এলাকার বহু মানুষকে ইতিমধ্যেই অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একে তো করোনার প্রকোপে সারা দেশের মানুষ জেরবার। তার মধ্যে এতগুলো মানুষের মৃত্যুর খবরে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হিমশিম খেয়েছে প্রশাসন।
অন্যদিকে গ্রেটার বিশাখাপত্তনম পুরনিগমের পক্ষ থেকে টুইটে জানানো হয়েছে, গোপালপটনমের এলজি পলিমারসে গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটেছে। আগাম সতর্কতা হিসাবে এই অঞ্চলের মানুষদের বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হচ্ছে। কারখানা সংলগ্ন এলাকার বহু সাধারণ মানুষ ঘটনার ভিডিও তুলে পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বহু মানুষ অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে অসুস্থ অবস্থায় রাস্তার পাশে বসে পড়েছেন। পুলিশের গাড়ি ও অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনে গমগম করছে গোটা এলাকা।