ঘরে নতুনত্ব আনতে নতুন কিছু গাছ বা হাউজ প্ল্যান্ট, বাতি কিংবা পুরনো আসবাবের দোকান থেকে কেনা একটা প্রাচীন আসবাবই যথেষ্ট। এতেই বদলে যাবে ঘরের চেহারা।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিন
গৃহসজ্জা বদলানোর জন্য সবার আগে সময় দিন ঘর খালি করতে। ঘর খালি মানে ঘরের জিনিসপত্র সব বের করার প্রয়োজন নেই। এমন দুই চারটা জিনিস থাকে যা আমাদের কোনো কাজেই লাগে না। কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন ধরে জমা করে রাখি সেগুলো। আগে সব জিনিস এলোমেলো করুন। অর্থাৎ বইখাতা, ফোটোগ্রাফ, শো-পিস, থালাবাটি, বইপত্র, জামাকাপড় সব। তারপর নতুন করে গোছান। এভাবে যেসব অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় জিনিস বের হবে তা ফেলে দিন।
সবুজে বাঁচুন
ঘরের কোনে দুই চারটা গাছই যথেষ্ট বাড়ির পরিবেশ বদলে ফেলতে। শুধু বারান্দাই নয়, বসার ঘর, খাবার ঘর, শোবার ঘর এমনকি রান্নাঘরেও দু’একটা গাছ রাখতে পারেন। অতিরিক্ত খরচ না করেও এভাবে বাড়িতে আনতে পারেন নতুনত্ব।
ঘরের নতুন রঙ নতুন সাজ
ঘরের একঘেয়ে ভাব কাটাতে নতুন রঙ করে ফেলতে পারেন। খুব দামি পেইন্ট, ওয়ালপেপার এসব জরুরি নয়। সাদা বা বেইজ রং করতে পারেন। তারপর দেয়ালসজ্জার উপকরণ, ফটোগ্রাফ ও পারিবারিক ছবি দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন ঘরের দেয়াল। একবার রং করলে তা কিন্তু দীর্ঘদিন থাকে। তাই রং করা খরচ সাপেক্ষ হলেও এটি দীর্ঘদিনের জন্য খরচ বাঁচাবে।
ঘরের বাতি বদলান
ঘরের চেহারা বদলে ফেলতে বাতি বদলানোর জুড়ি নাই। একটা বা দুটো বড় বড় লাইটের পরিবর্তে একের অধিক ছোট ছোট লাইট বদলে দেবে ঘরের সৌন্দর্য। এর জন্য অনেক টাকা নয় প্রয়োজন সৌন্দর্য মাপার চোখ।
পুরনো আসবাবে নতুন সাজ
শহরের বিভিন্ন পুরনো আসবাবের দোকানে ঘুরে ঘুরে কিনতে পারেন ভিনটেজ বা প্রাচীন আসবাব। এটি শুধু খরচই বাঁচাবে না, ঘরে আনবে নতুনত্ব। কাঠের আসবাব হলে কেনার সময় নতুন করে রং করিয়ে নিতে ভুলবে না।
ছোট বিষয় ছোট নয়
পরিবর্তন বললেই মনে হয় বড় পরিবর্তনের কথা। কিন্তু বড় কোনো বদল না এনেও আমরা বদলে ফেলতে পারি আমাদের ঘরের চেহারা। কিছুটা সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে ছোট ছোট বদল আনতে পারেন ঘরের সাজে। যেমন সব ঘরের পর্দা না বদলে একটি একটি করে ঘরের পর্দা বদল করুন। একই পদ্ধতি অবলম্বন করুন কুশন কাভার, চাদর, কার্পেট, রাগ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও।