চাঁদের বুকে অন্ধকার নামার আগেই প্রজ্ঞানকে নিস্ক্রিয় করা হয়েছে। সৌরচালিত প্রজ্ঞান কিংবা বিক্রম চাঁদে রাতের মাইনাস ১৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রা সহ্য করে কাজ করতে পারবে না। তাই ১৪ দিন অর্থাৎ চাঁদে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময় লাগে পৃথিবীর ১৪ দিন শেষ হওয়ার আগে হাতে সময় রেখে প্রজ্ঞানকে ‘ঘুম’ পাড়ানো হয়।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদের পরবর্তী সূর্যোদয়ের সময়ে আলো পেয়ে পুনরায় জেগে উঠবে ভারতের চন্দ্রদূত, আশা করছে ইসরো। অন্যথায় চিরকালের জন্যে চাঁদে রয়ে যাবে সে। সোমবার এক্স হ্যান্ডেল থেকে ইসরো জানিয়েছে, এবার বিক্রমকে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে শূন্যে ওড়ানো হয়েছে। লাফ দিয়ে সে আগের জায়গা থেকে প্রায় ৩০-৪০ সেন্টিমিটার দূরে সফল অবতরণ করেছে।
এদিন ইসরো এও জানিয়েছে, বিক্রম ল্যান্ডার চন্দ্রযান-৩ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। বিক্রমকে চাঁদের মাটি থেকে শূন্যে ওড়ানোর পিছনে রয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ভিন্ন লক্ষ্য। ভবিষ্যতে চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়ে তা ফিরিয়ে আনা কিংবা চাঁদে মানব অবতরণের জন্যে এই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ইসরো বিজ্ঞানীরা।