এখন সরকারি, বেসরকারি সব অফিস চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন–মেট্রো পরিষেবা। আর রোজ জ্বালানির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। ফলে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি নিয়ে টানাপড়েন চলছে প্রশাসনে সঙ্গে। তার জেরে পথে বেরিয়ে মানুষজন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ফরাসিদের হাতে গড়া হুগলির চন্দননগর শহরের সঙ্গে কলকাতার মেলবন্ধন ঘটতে চলেছে জলপথে। চন্দননগর থেকে কলকাতার মিলেনিয়াম পার্ক পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালু হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, রোজ সকাল ৮টায় চন্দননগর থেকে ওয়াটার বাস ছাড়বে। মিলেনিয়াম পার্কে এসে পৌঁছবে ৯টা ৪৫ মিনিটে। আবার বিকেল ৪টে মিলেনিয়াম পার্ক থেকে এই ওয়াটার বাস ছাড়বে। সেটি চন্দননগরে গিয়ে পৌঁছবে ৫টা ৪৫ মিনিটে। তার ট্রায়াল রান হয়ে গিয়েছে। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে চন্দননগর পৌঁছনোর মাঝে শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, শেওড়াফুলির মধ্যে কোনও একটি জায়গায় থামবে। মাথাপিছু ভাড়া ধার্য করা হয়েছে ৩২০ টাকা। শেওড়াফুলি কিংবা ব্যারাকপুর থেকে কলকাতায় আসতে খরচ পড়বে ২৫০ টাকা।
উল্লেখ্য, লকডাউনের জেরে বন্ধ ছিল হাওড়ার ফেরি সার্ভিস৷ ১ জুন থেকে চালু করা হয় ফেরি পরিষেবা৷ অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে হাওড়া থেকে কলকাতা ফেরি পরিষেবা চালু হয়েছিল৷ ফলে রাজ্য সরকার যতই বলুক আর ফরমান জারি করুক রাস্তায় এখনও সেভাবে নামেনি বেসরকারি বাস। তারা ফেলো কড়ি মাখো তেল নীতি শুনিয়ে দিয়েছে। যার জেরে ভোগান্তি বেড়েছে অফিস যাত্রীদের। এখন আবার আনলক করে দেওয়া হয়েছে। এখন এই ফেরি পরিষেবা কতটা সমস্যা মেটায় সেটাই দেখার।
