করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ–সহ চার রাজ্যকে চিঠি দিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ফলে ফের রাজ্যের ওপর চাপ বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, অসম এবং ওড়িশা সরকারকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে যাবতীয় পদক্ষেপকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আর মৃত্যুর হার এক শতাংশের নীচে নামিয়ে আনতে হবে।
জানা গিয়েছে, এই রাজ্যগুলিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে নতুন করে লকডাউনের কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। রাজ্যগুলিকে উৎসাহিত করতেই লকডাউনের কড়াকড়িকে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণের হারকে নামিয়ে নিয়ে আসা এবং আক্রান্তের মৃত্যুর হারকেও এক শতাংশের নীচে নামিয়ে নিয়ে আনতে গেলে, ঠিক যে ধরনের প্রশাসনিক উদ্যোগের প্রয়োজন তা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল চারটি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব এবং সচিবদের উদ্দেশ্যে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, নতুন আক্রান্ত চিহ্নিত হওয়ার পর কমপক্ষে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে তাঁদের ঘনিষ্ঠদের সন্ধান নিশ্চিত করতে হবে। আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর বন্দোবস্ত করতে হবে। কনটেনমেন্ট এবং বাফার জোনগুলিকে দ্রুত চিহ্নিত করা উচিত। তাই করোনা ওয়ারিয়র্স পোর্টালে অন্যান্য ক্ষেত্রের কর্মীদের সঙ্গে এনসিসি স্বেচ্ছাসেবকদেরও তালিকা থেকে তাঁদের কাজে লাগিয়ে কনটেনমেন্ট জোনে নজরদারি চালানোর কাছে ব্যবহার করতে হবে।
রাজ্যগুলিকে এই চিঠিতে লেখা হয়েছে, পরীক্ষার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের লক্ষ্য হওয়া উচিত, প্রত্যেকদিন প্রতি এক লক্ষে ন্যূনতম ১৪টি নমুনা (প্রতি ১০ লক্ষে ১৪০টি) পরীক্ষা করা। সেখান থেকে পজিটিভ কেসের হার ১০ শতাংশেরও কম নিশ্চিত করা। বিহারে করোনা মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রধানসচিবের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সেখানে এখন প্রতিদিন নতুন করে ৪০০–৪৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
