শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী হাসপাতাল ঘুরে দেখলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তিন সদস্য। কারণ এই হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। সকাল ১০টা নাগাদ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালে পৌঁছন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) প্রলয় মজুমদার এবং শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক সম্রাট চক্রবর্তী।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি শ্রমজীবী হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ না খুললেও জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল শ্রমজীবী হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা দেখতে এসেছিলেন। ওঁরা সব কিছু দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে।’
শ্রমজীবী হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ৪ এপ্রিল জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর শ্রমজীবী হাসপাতালকে করোনা প্রতিরোধে ব্যবহার করা শুরু করে। এখনও পর্যন্ত শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মিলিয়ে শ’তিনেক রোগী করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। ২৬০ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ৪০ জনের চিকিৎসা চলছে। শ্রমজীবী হাসপাতালে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।
