এখনও তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেননি। সভা–সমাবেশে গিয়েছিলেন বটে। এখনও তাঁরা খাতায়–কলমে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। এই পরিস্থিতিতে বাড়ল অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদের নিরাপত্তা। এবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাবেন তৃণমূল সাংসদ শিশির এবং দিব্যেন্দু অধিকারী। এই দুই সাংসদকে ঘিরে থাকবেন কমপক্ষে ৬জন নিরাপত্তারক্ষী। তৃণমূল থেকে দলবদলের করে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এখন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
দাদার হাত ধরে সৌমেন্দু অধিকারীও নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। তবে শিশির অধিকারীএবং দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও রয়েছেন তৃণমূলেই। তাঁদেরকে বিজেপিতে টানতেই এই ব্যবস্থা বলে মনে করছেন অনেকে। সূত্রের খবর, দু’জনের সঙ্গে দলের দূরত্ব বেড়েছে। সাংগঠনিক একাধিক পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তাঁদের দু’জনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ঢিলেঢালা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারীদের সুরক্ষিত রাখতে জেলার কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হল। শুক্রবার রাতেই কেন্দ্রীয় সিআরপিএফ জওয়ানরা কাঁথিতে এসে পৌঁছে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে।
নির্বাচনের আগে মোদী–শাহ, জেপি নাড্ডার মতো নেতারা বারবার এসেছেন বাংলায়। বিপুল ভোটে বাংলা দখল হবে বলেই আশার কথা শুনিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে তার উলটো। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোনওরকমে ভোটে জিতে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই অধিকারী পরিবারের দিকে নজর বিজেপির। তাদের সঙ্গে নিয়ে বাংলার সংগঠনকে সুদৃঢ় করার ভাবনা গেরুয়া শিবিরের। তাই বিরোধী নেতা শুভেন্দুর বাবা এবং ভাইয়ের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকে।
