রাজ্য

আধাসেনা বিতর্কে জড়ালো কেন্দ্র

রাজ্যে নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের সুরক্ষায় বেনজির সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ৭৭ জন বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বলয় দেওয়া হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সংবিধান অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। এক্ষেত্রে বিজেপির নব–নির্বাচিত বিধায়কদের আধাসেনার নিরাপত্তা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’র ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বঙ্গের পরিষদীয় রাজনীতিতেও বিরোধীদলের সমস্ত বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত এই প্রথম, এমনকী গোটা দেশের নিরিখে এই উদাহরণ খুব একটা নেই। এই বিষয়ে পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌দেওয়াল লিখন পড়তে পারছে না বিজেপি। মানুষের রায়কে অসম্মান করে বাংলাকে অপদস্থ করতে চাইছে। তারই নবতম প্রয়াস এই আধাসেনার পাহারা।’‌
উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ খড়্গপুর সদর কেন্দ্র থেকে জিতে আসেন। তাঁর নিরাপত্তায় রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। ওই সময়ে নির্বাচিত আরও দুই বিজেপি বিধায়ককেও দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের নিরাপত্তা। তখন দলীয় বিধায়কদের আধাসেনা দেওয়ার কথা ভাবেনি কেন্দ্র। এখন আধাসেনার নিরাপত্তায় থাকলেও, পাহারায় নিয়োজিত রাজ্য পুলিশ কর্মীদের ছাড়েননি বর্তমানে মেদিনীপুরের এমপি দিলীপবাবু।
এদিকে নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সিদ্ধান্তের পর পরই হেস্টিংস অফিসে তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। শুভেন্দু অধিকারী–সহ মোট ১৩ জন বিধায়ক এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বলয়ে রয়েছেন। এদিন অনুপস্থিত বিধায়কদের কাছে মেইল মারফত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী পাওয়ার আবেদন পত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবারই বিধানসভায় আরও একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে বিধানসভা চত্বরে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা আর প্রবেশ করতে পারবেন না। ফলে বিধানসভা অধিবেশন হলে বিজেপির বিধায়কদের নিরাপত্তায় থাকা বিশাল সংখ্যক আধাসেনাকে বিধানসভার গেটের বাইরেই অপেক্ষা করতে হবে।