প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব আর ছত্তিশগড়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বিশেষ দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। সংক্রমণের মারাত্মক বৃদ্ধির পাশাপাশি এই তিন রাজ্যে মৃতের সংখ্যাতেও বৃদ্ধি এসেছে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র। শনিবার মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের কাছাকাছি। এদিন দেশে করোনা আক্রান্তের ৬০ শতাংশই উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যের। আতঙ্কে ফের রাজ্য ছাড়তে শুরু করেছেন ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা। গতবছর সর্বাধিক সংক্রমণের দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৯৮,৭৯৫ (১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০)। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের জেরে এখনই সেই সংখ্যা প্রায় হাতের নাগালে!
দেশের ১০টি রাজ্যে কোভিডের দাপট যেভাবে বাড়ছে, তার পর্যালোচনা করতে রবিবার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই বৈঠকে ক্যাবিনেট সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূল সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব ছাড়াও আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যে লাফিয়ে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ রুখতে সোমবার থেকে এই মাসের শেষ পর্যন্ত জারি হচ্ছে নাইট কার্ফু। সপ্তাহের শেষে শুক্রবার রাতে থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জারি হবে লকডাউন। মল, রেস্টুরেন্ট, ধর্মীয় স্থান বন্ধ থাকবে। চালু থাকবে হোম ডেলিভারিও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা। পরিবহন চালু থাকবে পঞ্চাশ শতাংশ। দিনভর জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।
রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ৯৩,২৪৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫১৩ জনের। বাংলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১,৯৫৭ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, দৈনিক সংক্রমণের ৮০.৯৬ শতাংশই মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, কর্নাটক, দিল্লি, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাট—এই আট রাজ্য থেকে। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র থেকেই প্রায় ৬০ শতাংশ সংক্রমণের খবর এসেছে, মুম্বইয়ে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১১,০০০ জন।
কেন্দ্রের হিসেব হচ্ছে, গত ১৪ দিনে দেশের মোট কোভিডরোগীর ৫৭ শতাংশই এসেছে মহারাষ্ট্র থেকে। একই সময়ের মধ্যে দেশে যত জন মারা গিয়েছেন তাঁর ৪৭ শতাংশ অবদানই এই রাজ্যের। পঞ্জাবে গত ১৪ দিনে দেশের মোট রোগীর সাড়ে ৪ শতাংশের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে এবং মোট মৃত্যুর ১৬.৩ শতাংশ।