করোনা রুখতে ঠিক এক বছর আগে আজকের দিনেই লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল। নয় মাস টানা ঘরবন্দী থাকার পর, নিম্নগামী হয়েছিল কোভিড গ্রাফ। তবে একবছর পর ফের বেড়েছে করোনার দাপট। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়স্তরে রাজ্যগুলি বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে বলে নির্দেশিকা দিয়ে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো যাবে না।
বুধবার সারাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ২৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ২৬২। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ভারত। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে রাজ্যগুলিকে বেশি করে কোভিড পরীক্ষায় জোর দিতে হবে বলে নির্দেশিকায় জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমনকী টিকাকরণ কর্মসূচিতে আরও গতি আনতে হবে। কয়েকটি রাজ্যে টিকাকরণের শ্লথ গতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি কোভিড আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করতে পারে জেলা প্রশাসন।
সংক্রমণের নিরিখে প্রথম স্থানে মহারাষ্ট্র। পাঞ্জাব, কর্ণাটক, কেরল, ছত্তিশগড় এবং গুজরাটে মারাত্মক হারে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, এখন দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪ জন। যার মধ্যে সক্রিয় ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫৭টি কেস। মহারাষ্ট্র কিছু অংশে লকডাউন জারি হয়েছে ইতিমধ্যেই। গুজরাট এবং পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি শহরে নাইট কার্ফু চলছে। মাস্ক বা দূরত্ব বিধি না মানলে জরিমানার বিষয়টি রাজ্যগুলি ভেবে দেখতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে সমস্ত কাজকর্ম চলবে। তার মানে ট্রেন, বিমান, মেট্রো বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন বাংলায় নতুনভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০৪। যার মধ্যে সক্রিয় ৩ হাজার ৬৫৬টি কেস। মঙ্গলবার পর্যন্ত বঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৮১ হাজার ৪০৩ জন। বাংলায় সুস্থতার হার, ৯৭.৬০ শতাংশ। পাশাপাশি টিকাকরণের দিক থেকেও মিলেছে সাফল্য। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, এদিন টিকা গ্রহীতার সংখ্যা ৫ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে।
