বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই হাঁটল কেন্দ্র। এবার লকডাউনের জেরে দেশে খাদ্যশস্যের অভাব যাতে না হয়, তাই কৃষিকাজকে লকডাউনের আওতা থেকে বাদ রাখা হল। কৃষি সম্পর্কিত যাবতীয় কাজ সমানতালে চলবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই ২১ দিন ব্যাপী লকডাউনে কৃষিকাজও স্তব্ধ হয়ে গেলে দেশে খাদ্যের অভাব প্রকট হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
কৃষিকাজকে লকডাউনের আওতা থেকে ছাড় দেওয়ায় গ্রামীণ ভারতের একটা বড় অংশ অর্থনৈতিক কার্ফু থেকে মুক্তি পেল বলে মনে করা হচ্ছে। কৃষিকাজে বাধা দেওয়া হবে না বলে এই রাজ্যে আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভারতের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। লকডাউনের জেরে কৃষিকাজও স্তব্ধ হয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন লক্ষ লক্ষ কৃষক। কৃষিকাজকে স্বস্তি দিয়ে সরকারের এই ঘোষণার ফলে খোলা থাকবে সার ও কীটনাশকের দোকানগুলি। প্রভাব পড়ে না সবজি বাজারেও।