ভোট তৃতীয়া চলছে জোরকদমে। চারিদিক থেকে হিংসার খবর আসছে। তার মধ্যেই গোঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোঘাট। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা এবং হাতাহাতির খবর মিলেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গোঘাটের ৫৯ ও ৬০ নম্বর বুথে মহিলাদের পরিচয়পত্র দেখছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার প্রতিবাদ করেন শেখ আনসার আলি। কারণ নির্বাচন কমিশন নতুন বিধি এনেছে যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ভোটার কার্ড দেখতে চাইতে পারবেন না। আনসার আলির অভিযোগ, পরিচয়পত্র দেখতে পারে না বাহিনী। সেটাই গিয়ে বলেছিলাম। তখন আমাকে মারতে মারতে নিয়ে গেল। আধা সামরিক বাহিনীর কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে রক্ষা পেলাম। ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও উঠেছে বাহিনীর বিরুদ্ধে।
এই ঘটনা তৃণমূল সুপ্রিমোর কানে পৌঁছনো মাত্রই আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার করা হচ্ছে। ভোটারদের প্রভাতি করা হচ্ছে। একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হলেও তারা নীরব দর্শক হয়ে থেকেছে। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের ভোটারদের প্রভাবিত করছেন উর্দিধারীদের। একটা দলকে ভোট দিতে বলা হচ্ছে।’
