একুশের বিধানসভা নির্বাচনের হটস্পটে পরিণত হচ্ছে নন্দীগ্রাম। হেভিওয়েট প্রার্থীদের সবদিকেই বিশেষ নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার অভিযোগের পর আরও সতর্ক তারা। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কেবলমাত্র নন্দীগ্রামের জন্যই মোতায়েন করা হতে পারে ২২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর তা হলে নন্দীগ্রাম আবার আতস কাঁচের তলায় চলে আসবে। এমনিতেই এই কেন্দ্র এখন নজরকাড়া।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে সংখ্যা ছিল ৭২০। আর পাঁচ বছর পর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩২। এবারের নির্বাচনে প্রথম দফাতেই থাকছে ৭৩২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশন জানা গিয়েছে, সংখ্যা আগামীদিনে আরও বাড়তে পারে। তবে শুধু ২৭ মার্চ নয়, এবারে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে। স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা–সহ কোন দফায় কত সংখ্যাক বাহিনী আসছে রাজ্যে? কমিশন সূত্রে খবর, দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন কমিশন চাইছে ৬৯৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃতীয় দফায় ৬৯৪ কোম্পানি, চতুর্থ দফায় ৮৯৯ কোম্পানি, পঞ্চম দফায় ৯৫৫ কোম্পানি, ষষ্ঠ দফায় ৯৩২ কোম্পানি, সপ্তম দফায় ৭৬০ এবং অষ্টম দফায় মোতায়েন থাকবে ৭১৫ কোম্পানি বাহিনী। আর তাতেই নাকি নির্বাচন হবে অবাধ।
হিসেব মতো, পঞ্চম দফাতেই সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে নির্বাচন কমিশন। তবে স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা, কুইক রেসপন্স টিম–সহ বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য প্রত্যেকটি দফায় এই বিপুল সংখ্যক বাহিনী চাইছে কমিশন। অতীতে এত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন রাজ্যে হয়নি বলেই কমিশন সূত্রে খবর। যদিও এবার নির্বাচনে নির্ঘণ্ট জারি হওয়ার আগেই রাজ্যে চলে এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী।
