বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আর কিছুদিনের মধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছবে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারপর তারা কলকাতার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবে। চলবে রুটমার্চ। এই সপ্তাহ থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেওয়া শুরু করার কথা তাদের। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর। তার উপর নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা রাজ্যে আসছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভোটের দামাম বেজে উঠল বলে মনে করা হচ্ছে।
লালবাজার সূত্রে খবর, এসএসবি’র তিন কোম্পানি কলকাতায় আসবে বিভিন্ন এলাকায় টহল দেওয়ার জন্য। শহরে আসার পরে তাদের রাখা হবে কাশীপুরের সেকেন্ড ব্যাটালিয়নের অফিসে এবং এজেসি বসু রোডের পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে। তারপর তাদের মোতায়েন করা হবে কলকাতা পুলিশের ৯টি ডিভিশনে। ৭২টি থানা এলাকার কোথায় কত বাহিনী রুট মার্চ করবে, তা ঠিক করবেন ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনারেরা। সুতরাং শহর জুড়ে টানটান মেজাজ দেখা যাবে।
উল্লেখ্য, শনিবার প্রথম দফায় রাজ্যে এসেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিধাননগর–সহ বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই রুট মার্চ বা টহলদারি শুরু করেছে তারা। বীরভূমের নলহাটিতেও টহল দেওয়া শুরু হয়েছে। ওই আধাসেনার টহলদারি শুরু হতেই ভোটের দামামা কার্যত বেজে গিয়েছে। ভোট ঘোষণা না হলেও রাজনৈতিক হিংসা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অল্পবিস্তর চলছে। গত সপ্তাহেই বেলেঘাটা এবং ফুলবাগান থানা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দুই যুযুধান পক্ষের সংঘর্ষে।
এই পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের কলকাতায় আসার কথা। রাজ্যের এবং কলকাতার পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে তাঁর। সেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, কাজ করতে যাতে তারা নির্দ্ধিতায় পারে তা পুলিশ কর্তাদের বলা হবে বলে সূত্রের খবর।