জেলা

রাজ্যে পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনী

বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। কারণ এবার রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার সকালে দুর্গাপুরে পৌঁছেছে দুই কোম্পানী সিআইএসএফ কর্মী। তাঁদের পাঠানো হবে বাঁকুড়া ও বীরভূমে। চলতি মাসে ধাপে ধাপে মোট ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে রাজ্যে বলে খবর। বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু তার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। শহর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন করা হবে জওয়ানদের। নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরই তাঁদের দিয়ে রুট মার্চ করানোর পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম–পুরুলিয়ায় মোতায়েন করা হবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাহিনী, ৯ কোম্পানি করে। ৬ কোম্পানি বাহিনী থাকবে শিলিগুড়িতে। হুগলি–হাওড়ায় থাকবে ৪ কোম্পানি করে বাহিনী। ৫ কোম্পানি করে থাকবে বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বারাকপুর, চন্দননগর, মালদহ, মুর্শিদাবাদে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কৃষ্ণনগর, কলকাতা, বারাসত, পূ্র্ব বর্ধমান, বাঁকুড়ায় থাকবে তিন কোম্পানি করে। ২ কোম্পানি করে বাহিনী মোতায়েন করা হবে সুন্দরবন, ডায়মন্ডহারবার, বারুইপুর, বিধাননগর, বসিরহাট, বনগাঁ, হাওড়া গ্রামীণ, রানাঘাট, জঙ্গিপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, আলিপুরদুয়ারে।
এবার নির্বাচন হতে চলেছে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে। তা মাথায় রেখে বুথের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ২২ হাজার অতিরিক্ত বুথ থাকবে। তা নিয়ে মোট বুথের সংখ্যা হয়েছে ১ লক্ষের কিছু বেশি। বর্ধিত বুথের কথা মাথায় রেখে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীও বাড়ানো হতে পারে। কমিশনের ফুল বেঞ্চ ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরিস্থিতি পরিদর্শন করে গিয়েছে তিনদিনের সফরে এসে। তখন তাঁরা জানিয়েছিলেন, নিয়ম মেনেই বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ধাপে ধাপে সেই সংখ্যা বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রবেশ করতে শুরু করেছে রাজ্যে। আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ সীমান্তবর্তী এলাকায় টহলদারি, রুট মার্চ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, আপাতত রাজ্যে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা ফেব্রুয়ারির শেষে। ১২৫ কোম্পানির মধ্যে ৬০ কোম্পানি সিআরপিএফ থাকবে। এছাড়া সিআইএসএফ, আইটিবিপি, এসএসবি এবং বিএসএফ থাকবে নিরাপত্তার জন্য। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পরই স্পর্শকাতর এলাকায় শুরু হবে রুট মার্চও। নির্বাচনে কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার সুনীল অরোরা।