দেশ ব্রেকিং নিউজ

স্কুল খোলার প্রস্তুতি শুরু কেন্দ্রের

করোনাভাইরাস তো দেশে থেকে বিতাড়িত হয়নি। অথচ স্কুল খুলে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমিকভাবে স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। অনেকে বলছেন, স্কুল খুললেও ছেলে/‌মেয়েকে পাঠাবো না স্কুলে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধনের নেতৃত্বে করোনাভাইরাস পরিচালন বিষয়ক মন্ত্রিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত সচিব পর্যায়ের দল এই পরিকল্পনার সম্ভাব্য রূপগুলি নিয়ে আলোচনা করেছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু সেখানে ঠিক কী সিদ্দান্ত নেওয়া হয়েছে তা জানানো হয়নি। তবে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক তা আলোচনায় উঠে এসেছে বলে খবর। কিন্তু স্কুল কিভাবে খুলবে, কতটা খুলবে, প্রাথমিক খুলবে কিনা এবং প্রাথমিক বিভাগ বাদ দিয়ে খুলবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ইকোনমিক টাইমস সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, চলতি আগস্ট মাসের শেষের দিকে জারি করা চূড়ান্ত পর্যায়ের আনলক নির্দেশিকার অংশ হিসাবে এই সিদ্ধান্তটি ঘোষণা করা হবে। আর তৃতীয় পর্যায়ের আনলক জারি থাকবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। সেই মেয়াদ শেষ হলে নতুন নির্দেশিকা জারি করতে পারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পড়ুয়াদের স্কুলে ফিরিয়ে নিয়ে আসার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী ভাবে এবং কখন নেওয়া হবে, সে বিষয়গুলি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারগুলির উপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খোলার জন্য বিস্তৃত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেডিওর (এসওপি) জারি করা হতে পারে। জুলাই মাসের প্রথমদিকে স্কুলশিক্ষা বিভাগের করা একটি সমীক্ষা অনুসরণ করেই এই পদ্ধতি তৈরি করা হচ্ছে। তবে ওই সমীক্ষায় জোরালো ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে অভিভাবকরা তাঁদের শিশুদের স্কুলে পাঠানোর পক্ষে নন। কিন্তু কয়েকটি রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে যুক্তি দিয়েছিল, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির পড়ুয়ারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ৫–৬ ঘণ্টা থেকে স্কুলের পঠনপাঠনের সময় কোনও শ্রেণীর জন্য ২–৩ ঘণ্টায় প্রাথমিকভাবে নামিয়ে নিয়ে আসতে হবে। সমস্ত স্কুলকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। সকাল ৮–১১টা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে বেলা ১২–৩টের দু’টি শিফটে পঠনপাঠন চালু করা যেতে পারে। স্কুলগুলিকে ৩৩ শতাংশ শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের উপস্থিতিতে পঠনপাঠন চালু করার পরামর্শ দেওয়া হবে। সরকার প্রাক–প্রাথমিক বা প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের এখনই স্কুলে ডাকা হবে না বলেই মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে স্থির হয়েছে।