আন্তর্জাতিক লিড নিউজ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার মর্যাদার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রাজপথে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন সালাম-বরকত-রফিক-শফিক-জব্বারা। মাতৃভাষার জন্য এত বড় আত্মবলিদান সমগ্র পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল থেকে বিরলতম। অবশেষে ১৯৯৯ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেসকোর ৩০তম অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো। এরপর থেকে সমগ্র বিশ্ব একুশে ফেব্রুয়ারি সশ্রদ্ধায় নিজের মাতৃভাষার জন্য দিনটি পালন করে চলেছে।

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি ? না, সত্যিই ভোলা সম্ভব নয় । তাইতো দুদেশের মানুষ সব বাধা দূর করে আজ মিলিত হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে প্রতিবছরই সাড়ম্বরে ভাষা দিবস উদযাপন হয়ে থাকে। সমাগম হয় অগণিত মানুষের। মিশে যায় দুই বাংলার আবেগ। করোনার কারণে এই বছর অনুষ্ঠান অনেকটাই সাদামাটা। নিয়মের শৃঙ্খলা ছিল বেশ কড়া। নোম্যান্সল্যান্ডের অনেকটা আগেই বেনাপোলে বিজিবি এবং পেট্রাপোলে কর্মরত বিএসএফ জওয়ানরা আটকে দেয় ভাষাপ্রেমী সাধারণ মানুষদের। তবে এপার বাংলা দশ জনের একটি প্রতিনিধি দল ও বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল সম্মিলিতভাবে পেট্রাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে ফাঁকা গ্যালারিতে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন পাশাপাশি ভারতের পক্ষ থেকে মিষ্টি তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের হাতে।

অপরদিকে বাংলাদেশের সাংসদ শেখ আফিলউদ্দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ভাষার টানে দুই বাংলা একত্রিত হয়ে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করে কিন্তু এবছর সে পরিস্থিতি নেই। তবে তাঁর আশা, আগামীতে আবার দুই বাংলা একসাথে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করবে।