তপন দত্ত হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য সরকারের করা আবেদন খারিজ হয়ে গেল। গত ৯ জুন তপন দত্ত হত্যা মামলার সমস্ত নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। এছাড়াও আবেদন করেন অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন। এবার সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
গত মাসেই নিহত তপন দত্তের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। তপন দত্তের মৃত্যুর দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর নতুন করে তদন্তে নামে সিবিআই। আর এতেই খুশি তপন দত্তের পরিবার। এবার অপরাধীরা প্রকাশ্যে আসবে এবং শাস্তি পাবে বলেই আশাবাদী তপন দত্তের মেয়ে।
২০১১ সালের ৬ মে খুন হয়েছিলেন বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত। জানা যায়, জলাভূমি ভরাট করার প্রতিবাদ করেছিলেন তপন দত্ত। অভিযোগ, তার জেরেই খুন হন তিনি। কাঠগড়ায় ছিলেন তৃণমূলেরই কয়েকজন নেতা-কর্মী। স্ত্রী’র দায়ের করা এফআইআরে নাম ছিল রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় সহ ১৩ জন নেতা-কর্মীর। তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি।
প্রথম চার্জশিটে নাম ছিল রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়-সহ একাধিক নেতার। কিন্তু সে বছরই ২৬ সেপ্টেম্বর সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। যেখানে কোনও কারণ ছাড়াই বাদ যায় ৯ জনের নাম। কি কারণে অরূপ রায়ের মতো হেভিওয়েট নেতার নাম বাদ গেল? সেই প্রশ্নই তোলেন তপন দত্তের পরিবার। এরমধ্যেই, নিম্ন আদালত ৫ অভিযু্ক্তকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয়।
২০১৭ সালে নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকেই খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় অভিযুক্তরা। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের সেই নির্দেশ বহাল রাখে।