রাজ্য

সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি সিবিআইয়ের

নারদ কাণ্ডে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিল সিবিআই। হাইকোর্টের রায় যদি তাদের পক্ষে না যায়, তাহলে বিকল্প ভাবনা হিসাবে জামিন বাতিলের আর্জি প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে জানাবে সিবিআই। যেভাবে গতকাল জামিন পাওয়ার পর বসিয়ে রেখে হাইকোর্টে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ নিয়ে তিন প্রাক্তন মেয়র এবং এক বিধায়ককে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হল তা নজিরবিহীন। এদের মধ্যে দু’‌জন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী।
এদেরকে আটকাতেই লিগাল সেলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে। যদি রায় তাঁদের পক্ষে না যায়, তাহলে চারজনের জামিন বাতিলের আর্জি নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। এই চারজনের মধ্যে কেউ যদি সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেন, তাহলে আইনি পথে তার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রেই প্রস্তুতি নিয়েছে সিবিআই। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে জেল ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে সিবিআই।
প্রেসিডেন্সি জেলে উত্তমকুমার স্পেশ্যাল সেলে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়। দুটি আলাদা ঘরে রয়েছেন তাঁরা। গোটা রাতই তাঁরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। এই উদ্বেগের জন্য তাঁদের শরীরের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। চেক আপের জন্য তাঁদেরকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। ভোর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। আচমকাই শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় মদন মিত্রের। ভোট ৩.৪০ মিনিট নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয় মদন মিত্রকে। উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর রুমে রয়েছেন তিনি। সমস্যা হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়েরও। তাঁকেও এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।