ফের বিপাকে পড়লেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। আবগারি দুর্নীতি মামলায় ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার তাঁকে সিবিআইয়ের সদর দফতরে তলব করা হয়েছে। শনিবার সকালে মণীশ সিসোদিয়া নিজেই সিবিআইয়ের তলবের কথা টুইট করে জানান। টুইটে তিনি লেখেন,‘সিবিআই রবিবার আমায় ডেকেছে। সিবিআই,ইডি আমার বাড়ি তল্লাশি করেছে, ব্যাঙ্কের লকার তল্লাশি করেছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণই মেলেনি। আমি কেবলমাত্র দিল্লির শিশুদের জন্য সুশিক্ষার ব্যবস্থা করেছি। ওরা আমাকে থামাতে চায়। আগেও আমি তদন্তে সহযোগিতা করেছি এবং ভবিষ্যতেও তা করব।’ এর আগে মদ কেলেঙ্কারি মামালায় মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। সূত্রের খবর,মণীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই একটি প্রশ্নের তালিকাও তৈরি করেছে সিবিআই।
উল্লেখ্য,গত বছরই দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে বিতর্কের দানা বেঁধেছিল। এরপরই দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার নির্দেশেই দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করে ইডি ও সিবিআই। কারণ, আবগারী বা মদ বিক্রি নীতিতে মূল অভিযোগই ছিল বেআইনিভাবে পথে অর্থ উপার্জন। তিন মাস আগেই সিবিআই এই মামলার চার্জশিটও পেশ করে।সিবিআইয়ের ওই চার্জ শিটে মণীশ সিসোদিয়া সহ ১৫ জনের নাম ছিল। ১১ পাতার ওই চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং ভুয়ো অ্যাকাউন্টের নথি পাওয়া গেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। মনীশের বিরুদ্ধে সিবিআই যে ধারাগুলিতে মামলা দায়ের করেছিল, তারমধ্যে দুটি ধারা ইডির প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এর অধীনে তদন্তের অধীনে পড়ে। সেগুলি হল, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি এবং ৪৭৭। এছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৭ নম্বর ধারার মামলা দায়ের হয়েছে।